‘অদৃশ্য সাপ’ আতঙ্ক
নিউজ ডেস্ক।। হঠাৎ করে অদৃশ্য সাপের কামড় আতঙ্কে ভুগছে পাবনার ঈশ্বরদীসহ এই অঞ্চলের মানুষ। পাবনা ও নাটোর জেলার মানুষ এই ভয়ে এখন কাতর। কামড় দিলে কেও সাপ বা পোকা দেখতে পাচ্ছে না, কামড় দেয়ার কিছুক্ষণ পরে অনুভূত হচ্ছে জ্বালা! দেখা যাচ্ছে কামড়ের দাগ ও রক্ত। এর কিছুক্ষণ পর শরীর হয়ে যাচ্ছে কালো। শতাধিক মানুষকে এই অদৃশ্য সাপ কামড় দিয়েছে বলে গুজব উঠেছে।
সোমবার সকাল থেকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা ঈশ্বরদী উপজেলায় সব বয়সী ছেলে-মেয়ের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে শিশুরা হাতে বাঁধছে লাল সুতো। কেউ কেউ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন দোয়াকে তাবিজ বানিয়ে ব্যবহার করছেন।
দাশুড়িয়া আনন্দবাজার এলাকার বকুল সরকার বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ এটাকে গুজব হিসেবে মনে করেছিল। কিন্তু পর্যায়ক্রমে এই গুজব যখন গ্রামে গ্রামে চলে এলো তখন আর কেও এই অদৃশ্য সাপকে অবিশ্বাস করতে পারছে না। গতকাল আমার পরিবারের দুই সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে ওঝা নিয়ে এসে বিষ তোলার পর এখন সুস্থ রয়েছে।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল সরদার জানান, এই অদৃশ্য সাপের কামড়ের কথা প্রথমে শোনা যায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুর ইউনিয়নে। তার পরেই চলে আসে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে। রোববার থেকে চলে এসেছে দাশুড়িয়া ইউনিয়নে।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হাসান উদ্দিন চৌধুরী জানান, এটা ভিত্তিহীন খবর। বাস্তবে এ রকম অদৃশ্য কোনো সাপ নেই। তাই ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। এই ধরনের ঘটনা মাস হিস্টেরিয়াতে হতে পারে। মানে ভয় বা আতঙ্ক অতিদ্রুত একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা সরেজমিন গিয়ে দেখেছি কেউ মারা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, বাস্তবে খোঁজ নিয়ে দেখেন কাউকে সাপে কাটেনি, সাপে কাটার মত কোনো দাগ নেই। এটা আতঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়। উৎস: জাগোনিউজ।