‘মিথ্যা প্রচারণার’ জন্য কাভানোর কাছে ক্ষমা চাইলেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি ব্রেট কাভানোর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষায় কাভানোর নিয়োগ চূড়ান্ত করার শুনানির সময় যে ‘মিথ্যা প্রচারণা’ চালানো হয়েছে এর জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন। খবর বিবিসির।
কাভানো মনোনয়ন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার যে অভিযোগ ওঠে, সেটির দিকে ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেছেন।
হোয়াইট হাউসে বিচারপতি কাভানোকে শপথ পড়ানোর পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ব্রেট এবং পুরো কাভানো পরিবার যে কষ্ট ও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, তার জন্য আমি জাতির পক্ষ থেকে তাদের কাছে ক্ষমা চাই।
ঐতিহাসিক পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর কাভানো ‘নির্দোষ প্রমাণিত’ হয়েছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প আরও বলেন, মিথ্যা ও ধোঁকার ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ক্ষতির উদ্দেশ্যে প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
গেল সপ্তাহে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই কাভানোর যৌন অসদাচরণের বিষয়ে তদন্ত করে। কিন্তু সেটির ফল জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে হোয়াইট হাউসে শপথ অনুষ্ঠানে বিচারপতি কাভানো বলেন, তার ‘তিক্ত’ নির্বাচন প্রক্রিয়ার কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নিজের কাজকে প্রভাবিত হতে দেবেন না।
৫৩ বছর বয়সী এই বিচারপতি বলেন, সিনেটের চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াটা বাদানুবাদপূর্ণ ও আবেগপূর্ণ ছিল। কিন্তু এই প্রক্রিয়া এখন শেষ হয়েছে। এখন সবচেয়ে ভালো বিচারপতি হওয়ার দিকেই আমার ফোকাস।
উল্লেখ্য, মার্কিন অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্লাসে ফোর্ড অভিযোগ করেন যে, ১৯৮০-র দশকে তিনি কাভানোর যৌন অসদাচরণের শিকার হয়েছিলেন। তার এই অভিযোগের তিন সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে কাভানোর নিয়োগ চূড়ান্ত হলো। ফোর্ড অভিযোগ করেন যে, তাদের কৈশোরে একটি পার্টিতে তার শরীরে এলোমেলোভাবে হাতানো ও পোশাক খোলার চেষ্টা করেন কাভানো। ফোর্ডের ওই অভিযোগের পর আরও দুইজন নারী কাভানোর বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ তোলেন। তবে কাভানো তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।