রবিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১৫ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আগামী মাসেই বাজারে আসছে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি

অনলাইন ডেস্ক : আগামী মাসেই বাজারে আসছে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি। আগামী মাস থেকেই গাড়িটির বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছে গাড়িটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেরাফুজিয়া। দুজন যাত্রী বহনে সক্ষম এই হাইব্রিড-ইলেকট্রিক গাড়িটি চালানো অবস্থাতেই গতি বদল করা যাবে।

অর্থাৎ রাস্তায় গাড়িটি চলছে এমন অবস্থায় সুইচ অন করলেই সেটি উড়তে শুরু করবে। আর এজন্য সময় লাগবে দুই মিনিটেরও কম। সমতল থেকে দশ হাজার ফুট উচ্চতায় চলাচল সক্ষম এই গাড়িটি বাজারে আসছে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি।

এই গাড়িটি তৈরি করছে বিশ্বের বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা ভলবোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান টেরাফুজিয়া। তাদের মতে, গাড়িটি একবারে ৬৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে এবং এর সর্বোচ্চ গতি হবে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাড়িটির মূল্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি কিন্তু অভিজাত এই গাড়িটির প্রথম মডেল বিক্রি শুরু হবে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই।

কম্পানির তরফ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গাড়িটিকে আরও আধুনিক করা হবে। নতুনভাবে গাড়িটিতে যুক্ত হয়েছে হাইব্রিড-ইলেকট্রিক মটর এবং সিটের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

এছাড়াও গাড়িটিতে এখন থাকবে লাগেজ রাখার ব্যবস্থা, সিট বেল্ট এবং এয়ারব্যাগ। আর গাড়িটিতে বুস্ট মুড ছাড়াও থাকবে ব্যাক ক্যামেরা এবং নতুন প্যারাস্যুট সিস্টেম। বুস্ট মুডের কারণে গাড়িটি উড়ন্ত অবস্থায় আরো বেশি শক্তি নিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছে টেরাফুজিয়া।

২০১৬ সালে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গাড়িটিকে লাইট স্পোর্ট এয়ারক্রাফট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়াও গাড়িটি ন্যাশনাল হাইওয়ে এবং ট্রাফিক সেফটি স্ট্যান্ডার্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে; তবে গাড়িটি চালাতে হলে ক্রেতাদের পাইলট হিসেবে লাইসেন্স লাগবে।

কম্পানির বিশ্বাস গাড়িটি পাইলটদের চলাচলের জন্য খুব কাজের হবে, কারণ তারা ছোট কোনো বিমানবন্দরে গাড়িটি নামিয়ে সোজা বাড়ি যেতে পারবেন।

গাড়িটির বিভিন্ন অংশগুলো থাকবে ভাঁজ করা এবং এর ওজন হবে ১৩০০ পাউন্ড। এছাড়াও গাড়িটি অবতরণের জন্য থাকবে নির্দিষ্ট গিয়ার। এই উড়ন্ত গাড়িটি সর্বোচ্চ ১০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারবে।

কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় যাত্রীরা তাদের গন্তব্য কম্পিউটারে টাইপ করলেই সে অনুযায়ী গাড়িটি নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করবে। অবতরণের জন্য কোনো বিমানবন্দরের প্রয়োজন হবে না। এটা যে কোনো রাস্তা কিংবা মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে।

গাড়িটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস জরান বলেন, নতুন এই প্রযুক্তি আমাদেরকে নানাধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং নতুন কিছু তৈরি করার সুযোগ করে দেবে।