ক্রিকেটে পরিবর্তন আনল আইসিসি
আধুনিক ক্রিকেটের বহুল আলোচিত এক উপাদান হলো- ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন বা ডিএলএস সিস্টেম। যদি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ম্যাচের সমাপ্তি না হয় তাহলে সেই খেলার ফলাফল খুঁজে নেয়া হয় এই সিস্টেমে।
আর সেই ডিএলএস সিস্টেমে এসেছে নতুন সংস্করণ। একইসঙ্গে আইসিসি পরিবর্তন এনেছে কোড অব কন্ডাক্টের রীতিতেও। আজ রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে এই পরিবর্তনগুলো কার্যকর হবে।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কোড অব কন্ডাক্টকে সংস্কার করে শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২ জুলাই ডাবলিনে আইসিসির বোর্ড সভায় এসব পরিবর্তন অনুমোদন পেলেও তা কার্যকর হতে যাচ্ছে আজ রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে, যার ভেন্যু কিম্বার্লি।
এই পরিবর্তন অনুযায়ী এখন থেকে তৃতীয় মাত্রার অপরাধের জন্য আগের চেয়েও অধিক শাস্তি পাবেন ক্রিকেটাররা। এ মাত্রার দোষের ক্ষেত্রে আগে ৮টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেতেন ক্রিকেটাররা, যা এখন বেড়ে হয়েছে ১২টি। এই ১২টি সাসপেনশন পয়েন্ট ৬টি টেস্ট ম্যাচ ও ১২টি ওয়ানডে ম্যাচের সমতুল্য।
আইসিসি মূলত ক্রিকেটারদের আচরণ আরও শিথিল করতেই এই পরিবর্তন এনেছে। এছাড়া আগামী বছর আইসিসি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়নি এই দফার সিদ্ধান্ত গ্রহণে।
অবশ্য তৃতীয় মাত্রার অপরাধের শাস্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে অপরাধ বিচারে মাত্রা নির্ধারণও। বল টেম্পারিং ব্যতীত অন্যান্য অবৈধ উপায়ে খেলায় সুবিধা নেওয়া গণ্য হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাত্রার শাস্তি হিসেবে। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করলেও গণ্য হবে একই মাত্রার শাস্তি হিসেবে। এছাড়া কোনো নেতিবাচক বা অশ্লীল মন্তব্য ব্যবহার করলে এবং তা শোনা গেলে এক মাত্রার অপরাধ হিসেবে ধরে নেয়া হবে। একই মাত্রার অপরাধ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অশ্রদ্ধা করলেও।
আর বল টেম্পারিং করলে দ্বিতীয় মাত্রার পরিবর্তে তা গণ্য হবে তৃতীয় মাত্রার অপরাধ হিসেবে।
এদিকে সংস্কার করা হয়েছে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন বা ডিএলএস পদ্ধতিকেও, আজ রবিবারের ম্যাচ থেকে যা কার্যকর হবে।