গণধর্ষণের সময় ছিল পাহারা, চলছিল ভিডিও!
রাজধানীর রায়েরবাজারে ১৪ বছর বয়সের এক পোশাককর্মী কিশোরীকে গণধর্ষণের মামলায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। কিশোরীকে তার পূর্বপরিচিত বিল্লাল সেখানে নিয়ে যায়।
পরে বিল্লালসহ পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করে। আর তিনজন পাহারা দেয় আর একজন মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে বলে জানান তিনি।
ওসি আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত এই আটজনের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারেরা হলেন- ফেরদৌস (২০), শাহীন (১৯), মিলন (১৯), জুয়েল (২৮), রাশেদুল ইসলাম (১৯) ও নয়ন (২২)।
এদের মধ্যে ফেরদৌস, শাহীন ও মিলন ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন। অপর তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মামলার অপর দুই আসামি বিল্লাল ও হাসান এখনো পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে থাকত। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। বর্তমানে ওই কিশোরী তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে বলেও জানান ওসি।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার ভুক্তভোগী কিশোরীর মা তার মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে আটজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে তিনি জানান, মোহাম্মদপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে তার মেয়ে। ২১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্বপরিচিত বিল্লালের (২৫) সঙ্গে নূরজাহান রোডে তাজিয়া মিছিল দেখে রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের কাছে আসার পর বিল্লাল তার মেয়েকে রাত পৌনে ৮টার দিকে একটি নার্সারিতে নিয়ে যান। সেখানে বিল্লাল, ফেরদৌস, শাহীন, হাসান ও মিলন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। সেখানে পাহারায় ছিলেন নয়ন, জুয়েল ও রাশেদুল। এছাড়া রাশেদুল ঘটনার দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন।