সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মাংস হালাল, ঝোল হারাম কেন?
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া শর্তের প্রসঙ্গ টেনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উদ্দেশ করে লিবারেল ডেমেক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্ণেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমদ বলেছেন, ‘সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্যে পার্থক্য হচ্ছে কেন? মাংস হালাল, আর ঝোল হারাম,এটা কেন?’
আজ শুক্রবার বিকেলে এলডিপির প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের এলডিপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে অলি এসব কথা বলেন।
এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘যত লোককে নিয়ে পারা যায় ঐক্য করা ভালো। ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী যখন বিএনপির মহাসচিব ছিল, তখন মুসলিম লীগের শাহ আজিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জয়পুরহাটের সাজাপ্রাপ্ত (যুদ্ধাপরাধী) আব্দুল আলীম রেলমন্ত্রী ছিলেন। এ ধরনের অনেকেই বিএনপিতে ছিল। ডা. বদরুদ্দোজা সাহেব তাদের মহাসচিব ছিলেন। তাহলে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্যে পার্থক্য হচ্ছে কেন? মাংস হালাল, আর ঝোল হারাম, এটা কেন?’
ঐক্য গড়তে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে বি. চৌধুরীর শর্তের বিষয়ে এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘বি. চৌধুরী সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখন তো মুজাহিদ ও নিজামী সাহেব মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। আমিতো সেদিন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলাম না। দোকানদারদের কাছে যারা পরাজিত হয়েছেন, যাদের পেছনে কোনো লোক নেই। তাদের মাহাথির মোহাম্মদ বানানো যাবে না। মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার জন্মদাতা। আধুনিক মালয়েশিয়ার নির্মাতা। যার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নেই। আর আমরা তো ছেলের কাছেই বিক্রি হয়ে যাই। আমাদের ছেলেরা ভিওআইপির ব্যবসা করে।’
অলি বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা মানে যারা আজকে ঐক্যজোটে তাদের অনেকের ছেলে ভিওআইপির ব্যবসা করে। তাহলে ভিওআইপির ব্যবসা কার থেকে নিয়েছে? আওয়ামী লীগের কাছ থেকে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে নিয়েছে। আর এদিকে বলছে আমরা ঐক্য করছি। রুমের ভেতরে থাকলে এক রকম, বাইরে বের হলে অন্য রকম। কখনো বলে ঐক্যজোটে আছি কখনো বলে ঐক্যজোটে নেই।’
সরকার ও বিরোধী দলকে নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলোচনায় বসতে হবে। উভয়পক্ষকে সমঝোতার মাধ্যমে জনগণকে পথ দেখাতে হবে।’
কর্নেল অলি আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।