সমাবেশ নিয়ে কোনো নাটক নয়, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিদবেদক: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ নিয়ে বিএনপিকে কোনো নাটক না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সমাবেশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এত মাথাব্যথা, এজন্য এত হইচই করার দরকার নেই। আমি পুলিশের আইজির সঙ্গে কথা বলেছি, তারা সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। চিৎকার চেঁচামেচি না করে ধৈর্য ধরে বিএনপি নেতাদের অপেক্ষা করতে বলব। এটা নিয়ে অন্য বিষয়ের মতো যেনো নাটক না করা হয়।’
বিএনপি ১০ বছরে ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারে নাই- উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দাবির এত জোর, ৫০০ লোকের মিছিল দেখি নাই। এত জোর আপনাদের দাবির। আন্দোলনের ডাক দিয়ে পুলিশের গতিবিধি কড়া না নরম এ খবর নিতে যায়। এরাই হচ্ছে নেতা, এরা আন্দোলন করবে। আন্দোলনের মরাগাঙ্গে ১০ বছরে ঢেউ আসে নি এখন এক মাসে কি করে আসবে। এখন কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য আন্দোলনের নামে চিৎকার চেঁচামেচি করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে কোনো সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ করে দেওয়ার কথাও বলেছেন, যার যা খুশি বলতে পারবেন। দরকার হলে আমরা মাইকও ফিট করে দিব। কিন্তু রাস্তায় চেঁচামেচি করতে দিব না, আমরাও করব না, আপনাদেরও দিব না।’
পত্রিকার মালিক, সম্পাদকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার অনুরোধ যা দেখবেন, যা শুনবেন তাই লিখবেন। কেন বলছি, গতকাল ১৪ দলের সমন্বয়ক আমাকে বলেছেন তারা কর্মী সমাবেশ করছেন। কিন্তু আপনারা একে সমাবেশ বলছেন কেন? সমাবেশ বানিয়ে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টিতো আমরা করব না। পাল্টাপাল্টি করলে কি আমরা নাট্যমঞ্চে করব? এটা সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে কর্মী সমাবেশ। এসব বিষয় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টকশোর বিষয় হলো সভা সমাবেশের অনুমতি লাগবে কেন? উপস্থাপকও বলছে অনুমতি। কিন্তু এ সাবজেক্টটাই বা কেন? পুলিশের অনুমতি শুধু বিরোধী দল নয়, সরকারি দলকেও নিতে হয়। আমরা ক্ষমতাসীন দলও অনুমতি নেই। এটাই নিয়ম।’
দুই দফা তারিখ পরিবর্তন করে আগামীকাল রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। একই দিন উদ্যানসংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সরকার সমর্থক ইসলামিক ঐক্য ফ্রন্টও সমাবেশ করবে।