লিটনের আউটের প্রশ্নে রসিকতার সাথে যা বললেন মাশরাফি
উদ্বোধনী জুটিতে রদবদল এনে লিটন দাসের সাথে পাঠিয়ে দেয়া হলো অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজকে। ম্যাচের শুরুতেই ‘আউট অব দ্য বস’ সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি কাজে লাগান মিরাজ ও লিটন। উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ১২১ রান, বাংলাদেশ পায় উড়ন্ত সূচনা।
এরপরই ছন্দপতন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলে উড়ন্ত শুরুর পরেও বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তখনো আশার প্রতীক হয়ে টিকে ছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা লিটন দাস, নিজ কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশের ইনিংস।
তখনই ঘটে ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি। যা এখনও রীতিমতো ‘টক অফ দ্যা কান্ট্রি’। বাঁহাতি চায়নাম্যান কুলদ্বীপ যাদভের বলে স্ট্যাম্পিং আউটের শিকার হন লিটন। থার্ড আম্পায়ার রড টাকার অনেক সময় নিয়ে আউটের ঘটনাটি দেখেন এবং সিদ্ধান্ত দেন লিটনের বিপক্ষে। থেমে যায় লিটনের ১২১ রানের ইনিংস, থমকে যায় বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের পথ।
সন্দেহ নেই লিটন আউট ছিলেন না। টিভি রিপ্লেতে মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছে ভারতীয় বাঁহাতি চায়নাম্যান বোলার কুলদ্বীপের বলে কিপার ধোনি যখন লিটনের বেলস তুলে নেন, তখন ব্যাটসম্যান লিটন দাসের বুটের একটা ক্ষুদ্র অংশ পপিং ক্রিজের ভিতরে ছিল। যা ক্রিকেটীয় আইনে পরিষ্কার নট আউট।
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরেই ম্যাচ চলাকালীন, ম্যাচের পরে, এমনকি ম্যাচের একদিন পর পর্যন্তও চলছে আলোচনা। ভক্ত-সমর্থকদের একটাই দাবী নট আউটই ছিলেন লিটন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে বিস্তর। কিন্তু এ নিয়ে বাংলাদেশ দলের ভাবনা কি? আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে দলের প্রতিক্রিয়াই বা কি?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশ দল দেশে ফেরা পর্যন্ত। শনিবার রাত প্রায় সোয়া এগারোটায় দেশে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বিমান বন্দরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও কোচ স্টিভ রোডস।
স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় উঠে আসে লিটনের আউটের বিষয়টি। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে রাজি হননি অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি খানিক রসিকতার সাথে এড়িয়ে যান এ প্রশ্নটি।
ফাইনাল ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ ফি’র ৪০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে অধিনায়ক মাশরাফিকে। সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুন, এমনিতেই স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ ফি’র ৪০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে এসেছি। আর কোনো জরিমানা দেয়ার ইচ্ছে নেই।’
মাশরাফির এমন উত্তরে বিষয়টা বেশ পরিষ্কার যে লিটনের আউটের ব্যাপারে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ দল। সে কারণেই এটির ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে হয়তো বিতর্কিত বক্তব্যই দিয়ে বসবেন অধিনায়ক। তাই নীরবে আউটের সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি এড়িয়ে যান মাশরাফি। অবশ্য এটিকে নিয়ে আলোচনা করে আর ফায়দাই বা কি? ম্যাচের ফলাফলে যে কোনো পরিবর্তন আর আসবে না।