ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি গ্যাস কুপের খনন কাজ সম্পন্ন, চলতি সপ্তাহেই পরীক্ষন কাজ
বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ২ টি অনুসন্ধানী গ্যাস কূপের খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে কূপ ২টির পরীক্ষণ কার্যক্রম। সূত্র জানায়, কসবা-১ গ্যাস ক্ষেত্রের ড্রিলিং পাইপ মাটির তলদেশের ২৯শ ৭৫ মিটার গভীরে গিয়ে খনন কাজের সমাপ্তি টানা হয়। অন্যদিকে সালদা নর্থ (উত্তর) কূপের ড্রিলিং মাটির ২৮শ ১৫ মিটার তলদেশ পৌছানো হয়েছে।
এরপরই ২ টি কূপের খনন কাজ সমাপ্তি করা হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ২ টি গ্যাস ক্ষেত্রেই গ্যাসের কিছুটা উপস্থিতি মিলেছে। তবে পরীক্ষণ কার্যক্রম শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। পরীক্ষন কাজ শেষ হতে এক মাস সময় লাগবে বলে কর্মকর্তারা জানান। মাটির তলদেশ থেকে তথ্য ওপাত্ত সংগ্রহ নমুনা নেয়ার পরই অনুসন্ধানী কূপের গ্যাসের উপস্থিতি নিয়ে তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অনুসন্ধান মূলক খনন কাজ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম (বাপেক্স)। সরকারের রূপকল্প-৩ এর আওতায় কসবা-১, মাদারগঞ্জ, জামালপুর ও শৈলকুপায় অনুসন্ধান কূপ খনন কাজ করে। কসবার পৌরসভার অভ্যন্তরে ২৭ এপ্রিল অনুসন্ধান কূপের কমিশনিং কাজ শুরু হয়। ১ মে থেকে ড্রিলিং কাজ শুরু হয়। বাপেক্স নিজস্ব জনবল ও রিগ দিয়ে এ কাজটি শুরু করে। গ্যাস ডেভেলপম্যান্ড ফান্ডের অর্থায়নের প্রায় ৩শ ৮২ কোটি টাকা ব্যায়ে পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
কসবা এ প্রকল্পে ব্যায় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে ৫ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। সালদা নর্থ (উত্তর) গ্যাস কূপ খনন শেষ হয়েছে। এতে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যায় হবে। রূপকল্প-১ এর আওতায় দেশের ৫টি অঞ্চলে গ্যাস কূপ খনন হবে। এতে ব্যায় হবে ৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গ্যাস ডেভেলাপম্যান্ট ফান্ড (জিডিএফ) এর অর্থায়নে অনুসন্ধানি এ কূপের খনন চলমান।