বাংলাদেশের কাছে হেরে সারারাত ঘুমাতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক
স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নিতে হবে, এটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি পাকিস্তানের খেলোয়াড় থেকে কর্মকর্তা কিংবা সমর্থকদের কেউই। অথচ, বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের কাছে ৩৭ রানে হেরে বিদায় পাকিস্তানের। ফাইনালে উঠে গেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত শক্তির সামনে আর টিকতে পারেনি শোয়েব মালিক, আসিফ আলি কিংবা সরফরাজ আহমেদদের কোনো লড়াই।
তবে এই পরাজয়ের কারণে চাপটা সবচেয়ে বেশি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের ওপর। ম্যাচের পরদিন নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের কাছে হেরে সারা রাত ঘুমাতেই পারেননি তিনি।’
ফেবারিটের তকমা নিয়েই আরব আমিরাতে খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান। একদিকে যেমন দুর্দান্ত বোলিং শক্তি, অন্যদিকে দারুণ উদীয়মান ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়েই এশিয়া কাপে গেল সরফরাজ আহমেদের দল। টুর্নামেন্টটি তো ভারতেই হওয়ার কথা। পাকিস্তানের কারণেই সেটিকে পরিবর্তন করে নেয়া হলো আরব আমিরাতে।
সেই পাকিস্তানই গ্রুপ পর্বে হংকংকে উড়িয়ে দিয়ে শুরু করলেও ভারতের কাছে খুব বাজেভাবে হেরে যায়। সুপার ফোর পর্বে ভারতের কাছে আরও একবার নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতেছে কেবলমাত্র শেষ ওভারের নাটকীয়তায়। বাংলাদেশের কাছে ৩৭ রানের ব্যবধানে হেরে সমাপ্তি ঘটলো তাদের এশিয়া কাপ অভিযানের।
যদিও এবারের এশিয়া কাপে ব্যাস্ত সূচির কারণে কারও নিঃশ্বাস ফেলার কোনো সুযোগই ছিল না। একের পর এক ম্যাচ। আজ আবুধাবি তো কাল দুবাই। এভাবে ম্যাচ খেলতে খেলতে ক্রিকেটাররাও হাঁফিয়ে উঠেছিল। সরফরাজ আহমেদের কথায় সেটাও ফুটে উঠলো। তিনি বললেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টই নির্ঘুম রাত কেটেছে আমাদের।’
সরফরাজ আহমেদ নিজেও রয়েছে খুব অফ ফর্মে। গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ফিফটি করার পর তার ব্যাটিং গড় কেবল ১৭.২ করে। এমনকি ব্যাটিং অর্ডারে তার নিজের এখনও সঠিক একটা অবস্থান তৈরি হয়নি। ইংল্যান্ডে তিনি ব্যাট করেছেন ৫ নম্বরে। এশিয়া কাপে তিনি ৪, ৫ এমনকি ৬ নম্বরেও ব্যাট করেছেন।
শুধু তাই নয়, সরফরাজের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেছে। তার বোলিং পরিবর্তন এবং ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সবাই পয়েন্ট আউট করতে শুরু করে দিয়েছে। এসব কারণে তিনি যে নেতৃত্ব নিয়ে একটা চাপের মধ্যে রয়েছেন, সেটা স্বীকার করলেন সরফরাজ। তিনি বলেন, ‘দেখুন অধিনায়কত্ব করতে গেলে চাপ সব সময়ই থাকবে। আর পাকিস্তানের অধিনায়ক হলে তো কথাই নেই। যেই নেতৃত্বে আসুক, সব সময়ই অটোমেটিক চাপ তৈরি হবে। যখন আপনি নিজে পারফরম্যান্স করতে পারবেন না এবং দল হারতে থাকবে, তখন চাপ তো আরও বেশি পড়বে, এটাই তো স্বাভাবিক।’