ব্যাংক ঋণের সুদহার যত কম বিনিয়োগে ততোই পজেটিভ ইমপেক্ট’
ব্যাংক ঋণের সুদহার যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য ততই ভালো। এর ফলে বিনিয়োগে পজেটিভ ইমপেক্ট পড়বে বলে মনে করেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে শুধুমাত্র ব্যাংকিং সেক্টরই একমাত্র হাতিয়ার নয়, আরও অনেক ফ্যাক্টর এর সঙ্গে জড়িত, সেগুলো বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে। তবে ব্যাংক ঋণের সুদহার কম হলে বিনিয়োগে অনেক সুবিধা হয়। যদিও বিনিয়োগ অন্যান্য অনেক কিছুর উপর বিনিয়োগ নির্ভরশীল। সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট হলে বিনিয়োগে সুবিধা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে অনেক ডিপোজিট রয়েছে। ডিপোজিটগুলো যদি বেসরকারি ব্যাংকগুলো পায় তাদের জন্য সুবিধা। একইসঙ্গে যে সব করপোরেট বডি রয়েছে, যাদের অনেক ফান্ড আছে, ওই অর্থ যদি ব্যাংকগুলো পেলে সুবিধা হবে তাদের। বেসরকারি ব্যাংকগুলো সরকারি ব্যাংকের ডিপোজিট পায় কিনা, পেলে সম্পূর্ণ পাচ্ছে কিনা আমি জানি না। তবে এটা একটা অন্তরায় সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়নের পথে অন্তরায়।
এক প্রশ্নের জবাবে মীর নাসির হোসেন বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহারের কারণে ডিপোজিট কিছুটা এফেক্টেড হচ্ছে। কারণ সঞ্চয়পত্রের সুদহার এখনো অনেক বেশি। সরকার নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর বিষয়ে কোনো বিবেচনা বা সিদ্ধান্ত নিবে না বলে মনে হয় না। সরকারি ব্যাংকগুলোর ডিপোজিট ও সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদহার এ দুটি ফ্যাক্টরই বেসরকারি ব্যাংকগুলো সিঙ্গেল ডিজিট পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে। তবে আমি যতটুকু জানি, ব্যাংকগুলো চেষ্টা করছে সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে।
মীর নাসির হোসেন , এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি
আমাদের সময়.কম