শনিবার, ৩রা নভেম্বর, ২০১৮ ইং ১৯শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুটিয়া পদ্মবিল, হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়

তৌহিদুর রহমান নিটল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ সীমান্তবর্তী এলাকা ঘাটুটিয়া গ্রাম।আর  এই মনোমুক্তকর পদ্মবিলের অবস্হান।বিলের চারিদিকে  যতদূর চোখ যায় শুধু পদ্ম আর পদ্ম। জলের উপর বিছানো সবুজ পাতা ভেদ করে হেসে ওঠা লাল-সাদা হাজারো পদ্ম। যেন এক গোলাপী চাদর। নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। মনে আসে এক অন্যরকম প্রশান্তি। মানুষের কাছে এ পদ্মবিলটি দিন দিন দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়েছে। এ বিলের অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন বিনোদনপ্রিয় হাজারো মানুষ।

সরজমিনে  গাঘুটিয়া পদ্মবিলে গিয়ে দেখা যায়, লম্বায় প্রায় দেড় কিলোমিটার এবং প্রস্থে অর্ধকিলোমিটারের কিছু কম এলাকায় হাজার হাজার গোলাপী-সাদা রঙের পদ্মফুল। পদ্মবিলে ঘুরার জন্য রয়েছে নৌকা। ঘন্টা হিসেবে নৌকা ভাড়া দেয়া হয়। নৌকা ভাড়া দিয়ে বাড়তি কিছু আয় করছেন স্থানীয়রা।
দর্শনার্থীরা বিলের পাড়ে বসে পদ্মের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখন প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন। কয়েকজন যুবক নৌকায় চড়ে পানিতে পা ভাসিয়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন ফুলে ফুলে। কেউ আবার সেই দৃশ্য মোবাইল ও ক্যামেরায় ধারন করছেন। ঢাকার ভার্সিটিতে পড়ুয়া কয়েজন ছাত্র  এসেছেন গাঘুটিয়া পদ্মবিল দেখতে। তারা জানালেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে গাঘুটিয়া পদ্মবিলের ছবি দেখে জায়গাটি দেখতে এসেছেন।

ছাএ জুনায়েদ বলেন, সৃষ্টিকর্তার এক অপরূপ সৃষ্টি এই পদ্মবিল। পদ্মফুল অনেক সুন্দর লেগেছে। শহরে এমন সুন্দর ফুল নেই। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা ভলো হলে দিন দিন দর্শনার্থী আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি মনে করেন সরকার যদি বিলটি সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়। তাহলে এটি আখাউড়ার একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

গাঘুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ষাটোর্ধ বৃদ্ধ মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, আগে এত মানুষ আসতো না। এখন গত কয়েক বছর যাবৎত এ বিলের মনোরম দৃৃশ্য দেখতে বেশি বেশি মানুষ আসছে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ভাবেই এ ফুল ফুটছে।

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আশা শিউলী বেগম বলেন, পানিতে পা ভিজিয়ে হাত দিয়ে পদ্মফুল ছুঁয়ে ধরার আনন্দই আলাদা। এ আনন্দের কোন বর্ণনা হয় না। কোন ব্যাখ্যা হয় না। নৌকার মালিক মো. রফিক বলেন, পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষ এখানে আসেন। তাদের সুবিধার্থে নৌকা নৌকা ভাড়ায় দেই। দৈনিক ৪/৫শ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।
গাঘুটিয়া বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মোকারম হোসেন বলেন, পদ্মবিল দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। বিনোদন প্রিয় মানুষের কাছে জায়গাটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।