বাঞ্ছারামপুরে গলিত লাশ উদ্ধার : এলাকায় শোকের মাতম
---
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার জগন্নাথপুর গ্রামে একটি বাড়ির দেয়াল নির্মানের কাজ করার সময় ৮ মাস আগে অপহ্নদ একই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে সোবহানিয়া মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র আশিকুল হাসান হ্নদয়ের (১২) গলিত লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অংশু কুমার দেব ও লাশ উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মো.শাহ আলম জানান,-‘লাশের অবস্থা খুবই খারাপ।মুখ দেখে চেনার উপায় নেই।হ্নদয়কে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জানার জন্য লাশ দুপুর ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
খোজ নিয়ে জানা গেছে,আজ সকালে রাজমিস্ত্রীরা একটি বাড়ির দেয়াল নির্মানের সময় একটি শিশুর লাশ মাটির গর্তে পোতা অবস্থায় পেলে এলাকায় সাড়া পড়ে যায়।খবর পেয়ে হ্নদয়ের মা এসে অর্ধগলিত লাশের হাফপ্যান্টের নমুনা দেখে তিনি তার ছেলেকে সনাক্ত করেন।তখন থেকেই সদর পৌর এলাকায় মৃত হ্নদয়ের স্বজনদের সহ তার স্কুলের বন্ধুসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়।
হ্নদয়ের মা নাজমা বেগম আহাজারী করতে করতে জানান,-গত ২০ এপ্রিল মাসে হ্নদয়কে অপহরন করে অপহরনকারীরা মোবাইলে ২০ লাখ টাকা দাবী করে না পেয়ে তাকে হত্যা করে জগন্নাথপুরে মতিন মিয়ার বাড়ির পাশে ফেলে রাখে বলে অনুমান করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে থানায় একটি অপহরনের অভিযোগ এপ্রিল মাসেই দায়ের করা ছিলো।সে ভিত্তিতে র্যাব ২ জনকে গ্রেফতার ও আদালতে ২ আসামী হ্নদয়কে অপহরনের কথা স্বীকার এবং অপহরনকালে ১৪ জন জড়িত ছিলো বলে স্বীকারোক্তি দিলেও হ্নদয়কে কি করা হয়েছে তা স্বীকার করেনি গ্রেফতারকৃতরা।গ্রফেতারকৃত আসামীরা এখনো জেলা জেলহাজাতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
হ্নদয়ের মামা হযরত মিয়া জানান-এখন নতুন করে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।