বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতনের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশের ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় নাসিরনগর ও হরিপুর গ্রামে ইসলামধর্মের অবমানার অভিযোগে প্রায় ৩ হাজার হামলাকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করে শতশত ঘর-বাড়ি, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনার জন্য নয়া দিল্লি উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে। স্থানীয় জেলে রাশরাজ দাসের ফেইসবুক থেকে পোস্ট হওয়া ধর্মীয় অবমাননার সূত্র ধরে এই হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনায় হিন্দুদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে শতাধিক। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা দাবি করে, ৫ নভেম্বর নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতে বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং নিকটবর্তী ঋষীপাড়া নামে আরেকটি গ্রামে হামলার হুমকি দেওয়া হয় বলে স্থানীয়রা জানায়।
এই ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হিন্দুদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের হামলা অতীতে চট্টগ্রাম ও সিলেট বৌদ্ধ সাম্প্রদায়ের উপর করা হয়েছিল। ভারত সরকার বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের উপর সাম্প্রতিক হামলার বিচার এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহবআন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় দায়ে বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস