নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার কারারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল শাখার সভাপতি ও চমেক ইন্টার্ন ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
‘স্যার’ সম্বোধন না করায় বুধবার সকালে দেলোয়ার হোসেন নামের এক কারারক্ষীকে হাসপাতালের তিনতলায় মারধর করেন রাশেদুল ও তার সহযোগীরা। পরে তিনতলা থেকে পাঁচতলার নাক, কান ও গলা বিভাগে নিয়ে গিয়ে ওই কারারক্ষীকে আরেক দফা মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আলোকচিত্র সাংবাদিক জুয়েল শীলের ওপর রাশেদুলের নেতৃত্বে হামলা হয়েছিল।
চমেক শাখা ছাত্রলীগের প্রত্যক্ষদর্শী এক নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ঘটনার সময় দেখি একজন ব্যক্তিকে রাশেদ ও কয়েকজন মিলে মারধর করছে। মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির গায়ে ছিল কারারক্ষীর ইউনিফর্ম। এটি দেখে উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ওই কারারক্ষী এক রোগী নিয়ে চক্ষু বহির্বিভাগে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় কথা বলতে গিয়ে সেখানে উপস্থিত রাশেদুলকে ‘স্যার’ সম্বোধন করেননি ওই কারারক্ষী। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে মারধর করতে শুরু করে রাশেদুল ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কারারক্ষীকে উদ্ধার করে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (উপপরিদর্শক) জহিরুল ইসলাম বলেন, এক কারারক্ষীকে পিটিয়েছে চিকিৎসকরা। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানি না। দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।