খাদ্যাভ্যাস কমাবে ৯০ শতাংশ ডায়াবেটিস
স্বাস্থ্য ডেস্ক : অনেকের ধারণা ডায়াবেটিস হলে তা থেকে কখনই মুক্তি মেলে না। তবে জেনে রাখা ভালো আপনার এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। তাদের মতে, নিয়ম মেনে সঠিক খাবার খেলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ডায়াবেটিস কি?
স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তে বেশি শর্করা বা সুগার থাকলে তাকে বলা হয় ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা সংক্ষেপে ডায়াবেটিস। বাংলায় এই রোগকেই মধুমেহ বলা হয়। এই রোগের সঙ্গে চোখের অসুখের অবশ্যই সম্পর্ক রয়েছে।
আসুন জেনে নেই যেসব নিয়ম মানলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি মিলবে।
খাদ্যাভ্যাস
জার্মান ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ প্রফেসার স্টেফান মার্টিনের মতে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে অতিরিক্ত ওজন কমানোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস শতকরা ৯০ ভাগ কমানো সম্ভব।
নুডলস
নুডলস বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের শর্করা রক্তে চিনির মাত্রা মুহূর্তের মধ্যেই বাড়িয়ে দেয়, ফলে শরীরের কোষে ইনসুলিন হরমোন ছড়িয়ে পড়ে৷ তাই এ থেকে দূরে থাকাই ভাল।
ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ
২০০ ডায়াবেটিস রোগীর উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে মাত্র ৬০০ ক্যালরি প্রোটিনযুক্ত খাবার খান তারা ওষুধ ছাড়াই সুস্থ আছেন৷ তাছাড়া দীর্ঘ তিন মাস শর্করা জাতীয় খাবার পুরোপুরি বাদ দিয়ে শুধু প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলেও একই ফল পাওয়া যাবে৷
বাদাম
ডায়াবেটিস থেকে ভাল থাকতে চাইলে রোগীকে প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম, আখরোট খেতে হবে। কারণ, বাদামের ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিনের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সবজি-সালাদ
এসব খাবারে ক্যালরি প্রায় নাই বললেই চলে৷ তবে এতে থাকা পানি পেট ভরায় এবং খুব ধীরে ধীরে রক্তে প্রবেশ করে। সালাদের সঙ্গে জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। তাই প্রচুর সালাদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা৷
স্ট্রবেরি-আপেল
অন্যান্য ফলের তুলনায় স্ট্রবেরি ও আপেলে শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে। কাজেই ওজন কমাতে এবং ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ ধরনের ফল প্রতিদিনই খাওয়া উচিৎ।
এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীরা বাইরের কেনা খাবার একেবারেই খাবেন না। ডায়াবেটিস রোগীর প্লেট খাবারের অর্ধেকটাই হতে হবে সালাদ বা সবজি। আর বাকি অর্ধেকের চার ভাগের তিন ভাগ প্রোটিনযুক্ত খাবার, আর এক ভাগ শর্করা জাতীয় খাবার।