বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

মাহমুদউল্লাহর পর আরিফুলের বিদায় (সরাসরি)

স্পোর্টস ডেস্ক : বড় জুটির আশা জাগিয়েও সেটা করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পারলেন না নিজের ইনিংস বড় করতে। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে জার্ভিসের বলে ধরা পড়লেন চাকাভার গ্লাভসে। ভাঙল ৬ষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহর পর আরিফুলও বেশিক্ষন টিকতে পারেনি। ৪ রান করে জার্ভিজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।

অন্যদিকে ইনিংসে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যক্তিগত স্কোর দেড়শ রানের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ১৪৫* রানে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। আগের দিন মুমিনুল হক ১৬১ রানে আউট হয়েছিলেন।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল রবিবার প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩০৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে খাদ থেকে টেনে তুলেন মুশফিকুর রহিম এবং মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ২৬৬ রানের দুর্দান্ত জুটি। ১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৭ম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। দিনের খেলার শেষভাগে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন মুমিনুল হক। তার ২৪৭ বলে ১৬১ রানের অসাধারণ ইনিংসে ছিল ১৯টি বাউন্ডারি।

মুমিনুলের পর সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিকও। ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খেলেন ১৮৭ বল। হাঁকান ৮টি বাউন্ডারি। মুমিনুল আউট হওয়ার পর ৬ ওভার বাকী থাকায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে উইকেটে আসেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ তাইজুল ইসলাম। ৪ রান করে জার্ভিসের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। রিভিউ জিতে তাইজুলকে প্যাভিলিয়নে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। দিনের বাকী সময়টা দুই ভায়রা-ভাই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ নিরাপদে কাটিয়ে দেন।