নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা ঐক্যফ্রন্টের
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একইসঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট জানিয়েছে, ৭ দফার যে দাবি তারা জানিয়ে আসছে সে দাবি থেকেও তারা সরে আসবেন না। একইসঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ৭ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামালের পক্ষ এসব ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘একটা অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যে ৭ দফা আমরা এর মধ্যে দিয়েছি সেই দাবি থেকে আমরা সরে আসছি না। এর সাথে যুক্ত হয়েছে নির্বাচনের তফসিল পিছিয়ে দেবার দাবি। আমারা নির্বাচনের বর্তমান ঘোষিত তফসিল বাতিল করে একমাস পিছিয়ে দিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণা করার দাবি জানান। সেই ক্ষেত্রেও কর্তমান সংসদের মেয়াদকালেই নির্বাচন করা সম্ভব হবে। এখানে উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোটের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার স্বার্থে নির্বাচনের তফসিল ২ দফা পিছিয়ে দেয়া হয়েছিলো। এইসব দাবি আদায়ের সংগ্রাম জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অব্যাহত রাখবে। সে আন্দোলন সংগ্রামের পথে নির্বাচনে অংশগ্রহণকেও আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করবে ঐক্যফ্রন্ট।’
ফখরুল বলেন ‘একটা অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় দায়িত্ব সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনের অংশ নেয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কড়া নজর রাখবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের আচরণের প্রতি। জনগণের দাবি মানা না হলে উদ্ভূত পরিস্তিতির দায় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।’সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘সংলাপে কোনোরকম বাধা ছাড়াই সভা সমাবেশ করতে দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে ঢাকা ও রাজশাহীতে শেষ মুহূর্তে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে জনসভা হওয়ার দুদিন আগে সরকারি মদদপুষ্ট পরিবহন সঙ্কট সৃষ্টি করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর সাথে আশেপাশের জেলার বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’