সাগরে ‘গাজা’, ২ নম্বর সংকেত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর আবহাওয়া সংস্থাগুলো এর নাম দিয়েছে ‘গাজা’। রোববার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি দেশের চার সমুদ্রবন্দরের এক হাজার কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছিলো। এ কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১৩.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২ ডিগ্রি পূর্ব দধাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’য় পরিণত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, রোববার সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর বন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে, তার পরিবর্তে ০২ (দুই) নম্বর নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র