জেনে নিন বাবা-মা কিভাবে সন্তানের জীবন ধ্বংস করে
পরিবার শিশুর জন্য এমন এক স্থান, যেখান থেকে শিশু বাঁচতে শিখে , হাঁসতে শিখে । মোট কথা শিশুর মানবিক বিকাশের আতুর ঘর হল পরিবার। বাবা-মাকে দেখে শিশু শিখে সব কিছু, এবং সেই ভাবে নিজেদেরকে গড়ে তোলে। এক্ষেত্রে পরিবারে বাবা মায়ের মধ্যকার সম্পর্ক শিশুর জীবনে গুরুত্তপূর্ন প্রভাব ফেলে। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যেমনি একটি শিশুর জীবন গড়ে দিতে পারে বাবা-মা তেমনি বাবা-মায়ের সম্পর্ক শিশুর জীবন ধ্বংস করে দেয়। আজকের আয়োজনে নিয়ে আসলাম শিশুদের এমন কিছু সমস্যা যা বাবা-মায়ের সম্পর্কের কারণে শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।
১। নিজেদের কে দোষারোপ করে।
শিশুরা যখন দেখে তাদের বাবা মার মধ্যে সম্পর্ক ভালো না তখন তারা এর জন্য নিজেদেরকে দায়ি করে। এর কারণ তারা কখনো বাবা মা থেকে ভিন্ন স্বত্তা মনে করতে পারেনা। ফলে বাব মা দের খারাপ কাজ নিজেরদের কাজ বলে মনে করে। তারা মনে করে কেও তাদের ভালবাসেনা। কারেন তাদের বাব মা দের মধ্যে ভালোবাসা নাই বলে। এ বিষয়টি তাদের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলে।
২।। বিশ্বাস হীনতা দানা বাধে তাদের মধ্যে।
শিশুরা সব সময় বাব মাকে অনুসরণ করে। ফলে বাবা মা যদি খারাপ কাজ কএ তারা দেখে শিখে এবং পরে সেই খারাপ কাজ শিশুরাও করে থাকে। যখন কোন দম্পতি নিজেদেরকে বিশ্বাস করতে পারেনা, তখন শিশুরা এসব দেখে শিখে , এবং অন্যকে বিশ্বাস করতে পারেনা।
৩। সবসময় অসহায় মনে করে।
একটা শিশু যখন দেখে তাদের বাবা মা ভালো নেই তখন তারাও ভালো থাকতে পারেনা। তাদের মধ্যে হিনমন্যতা কাজ করে। তারা মনে করে তাদের কেউ নেই। এমন একটা পরিবেশে শিশু বড় হলে তাদের মনে ভয়ানক প্রভাব পরে।
৪। বিশ্বাসঘাতক হয়ে উঠতে পারে।
শিশুরা যখন দেখে বাবা মা কেউ কাউকে বিশ্বাস করেনা। বাঁ কেও কারো কথা রাখেনা তখন তারাও এই অভ্যাস রপ্ত করে। এবং বন্ধু বান্ধব আত্মিয়দের সাথে তা চর্চা করে।
৫। কাউকে বিশ্বাস করতে না পারা।
শিশু যখন দেখে বাবা মা কেও কাউকে বিশ্বাস করেনা। তখ তারাও কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনা। ফলে তাদের নিজের জীবনেও একই সমস্যা বিরাজমান থাকে। ফলে কেউ সুখী হতে পারেনা।
৬। ভালবাসার প্রতি অশ্রদ্ধা।
বাবা মায়ের মধ্যে ভালোবাসা না থাকলে শিশুরাও এ দেখে বড় হয় এবং তারাও কাউকে ভালবাসতে পারেনা। ফলে তাদের জীবন ও ভালোবাসা হীন যন্ত্রণাময় হয়ে উঠে।
৭। মানসিক প্রেসার।
বাবা মা যখন ঝগড়া করে বাচ্চারা কার পক্ষ নিবে বুঝতে পারেনা। কারণ তারা উভয়কে খুব ভালবাসে। তখন তাদের কোমল হৃদয়ে খুব কষ্ট পায়। তারা অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারেনা। যা তাদের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে।
শেষ কথা হল, বাচ্চাদের জীবনের দিকে তাকিয়ে সকলের উচিত নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা সুন্দর রাখা। বাচ্চাদের সামনে একে অন্যের গায়ে হাত না দেওয়া।
সূত্র-faporbaz