ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান খাশোগির বাগদত্তার
অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন সাংবাদিক জামাল খাশোগির বাগদত্তা খাদিজা।তিনি বলেছেন,‘খাশোগি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে ট্রাম্প মোটেই আন্তরিক নন। তাই ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।’
গতকাল শুক্রবার তুরস্কের ‘হাবেরতুর্ক টিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাদিজা একথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনমতকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে তাকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাদিজার সঙ্গে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে যান খাশোগি। আর সেখানে পরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি আরবের ১৫ সদস্যের একটি স্কোয়াড।
খাশোগিকে হত্যার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অন্তত চারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছে সৌদি আরব। সর্বশেষ সৌদির এক উচ্চতর কর্মকর্তা স্বীকার করেছে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
অশ্রুসিক্ত নয়নে খাদিজা জানান,সৌদি সরকার খাশোগিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে বলে সামান্যতম ধারণা পেলেও তিনি তাকে ওই কনস্যুলেটে যেতে দিতেন না।
তিনি বলেন,‘শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত যারাই এ পাশবিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে তাদের সবার বিচার করে শাস্তি দিতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে খাদিজা জানান, ‘কোনো সৌদি কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
সৌদি আরবে যদি কখনও খাশোগির লাশ পাওয়া যায় তাহলে তিনি তার জানাজায় অংশগ্রহণ করতে দেশটি সফরে যাবেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে সে সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দেন খাশোগির বাগদত্তা।
এদিকে এ ঘটনায় সৌদির রাজ পরিবারের জড়িত থাকার কথা এখনও অস্বীকার করে যাচ্ছে রিয়াদ। গতকাল তুরস্কের সংসদে ক্ষমতাসীন একে দলের সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ‘খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি একেকবার একেক কথা বলছে। এটা যেন ‘কৌতুক’। একটা জাতিরাষ্ট্রের যে গাম্ভীর্য থাকা দরকার, সৌদির তা নেই।’
এরদোগান দাবি করেন,‘যে ১৮ জনকে সৌদি আরবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,তারা নিশ্চয়ই জানেন, খাশোগির মরদেহ কোথায় আছে। তিনি এ বিষয়ে রিয়াদ থেকে উত্তর প্রত্যাশা করছেন।’