আইটেম গানে নেচে যত পারিশ্রমিক পান অভিনেত্রীরা
বলিউড, টলিউড কিংবা আমাদের ঢালিউড। বাণিজ্যিক সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে আইটেম গান এখন জনপ্রিয়। সিনেমার সঙ্গে আইটেম গান না থাকলে যেন সিনেমা হিট করে না। নির্মাতারাও ছবির সঙ্গে একটা আইটেম গান রাখতে চান। প্রথম সারির নায়িকা থেকে শুরু করে উঠতি নায়িকা সবাই নাচেন আইটেম গানে।
বলিউডে হালে আইটেম গার্লদের রমরমা বাজার। তবে দিনে দিনে আইটেম নম্বরের ধরন বদলাচ্ছে। একই সঙ্গে বদলেছে আইটেম গার্লদের পারিশ্রমিকের অঙ্ক। আগে আইটেম গার্লদের নাচ দেখে চোখ কপালে উঠতো। এখন তাদের পারিশ্রমিকের অংক শুনলেও চোখ নিশ্চিত ওই একই জায়গায় উঠবে।
বলিউড তারকাদের মধ্যে আইটেম গানে নাচার জন্য কে কত পারিশ্রমিক নেন, জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
দীপিকা পাড়ুকোন
‘আইটেম গান’-এ খুব বেশি আগ্রহী নন দীপিকা পাড়ুকোন। তবে নিজের ছবি হলে ভেবে দেখতে পারেন। তাঁর অভিনীত ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবিতে একটি আইটেম গানের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। শোনা যায়, ‘লাভলি হো গায়ি ইয়ার’ শিরোনামের সেই গানে নেচে দীপিকা আট কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
কিছুদিন আগে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মঞ্চে পাঁচ মিনিট উপস্থিত থাকার জন্য প্রিয়াঙ্কা চোপড়া পাঁচ কোটি রুপি চাওয়ায় বেশ শোরগোল পড়েছিল। কেউ যদি ভেবে থাকেন, এই নায়িকা নতুন করে নিজের দাম বাড়িয়েছেন, তাহলে ভুল করছেন। কারণ, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘গলিয়ো কি রাসলীলা রাম-লীলা’ ছবির একটি আইটেম গানে নেচে প্রিয়াঙ্কা নিয়েছিলেন ছয় কোটি রুপি।
সানি লিওন
সানি লিওনকে বলিউডের অনেকগুলো আইটেম গানে দেখা গেছে। ধারণা করা হয়, তাঁর সব কাজের মধ্যে এখন পর্যন্ত ‘বেবি ডল’ আইটেম গানটি সর্বাধিক জনপ্রিয়। তবে এই গানে নাচার জন্য নাকি নামমাত্র পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন সানি। কিন্তু এরপর কোনো ছবির আইটেম গানে তাঁকে নেওয়ার জন্য প্রযোজকদের গুনতে হচ্ছে তিন কোটি রুপি।
সোনাক্ষী সিনহা
২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বস’ ছবির ‘পার্টি অল নাইট’ গানের কথা মনে আছে? অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবির এই একটি মাত্র গানে দেখা গিয়েছিল সোনাক্ষী সিনহাকে। আইটেম গানটিতে উপস্থিতির জন্য সোনাক্ষী পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছিলেন ছয় কোটি রুপি।
কারিনা কাপুর খান
নিজের ‘হিরোইন’ (২০১২) ছবির ‘হালকাত জওয়ানি’ গানের জন্য কারিনা কাপুর খান পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন পাঁচ কোটি রুপি। অবশ্য এরপর একই বছর সালমান খানের ‘দাবাং টু’ ছবির ‘ফেবিকল’ গানে নাচার জন্য কোনো পারিশ্রমিকই নেননি এই নায়িকা। বন্ধু হিসেবে সালমানের জন্য বিনা মূল্যেই কাজ করে দিয়েছিলেন। যদিও ‘ফেবিকল’ কারিনার আইটেম নাম্বারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
ক্যাটরিনা কাইফ
হৃতিক রোশন ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ‘অগ্নিপথ’ ছবিতে ক্যাটরিনা কাইফ ছিলেন অতিথি শিল্পী। কেবল একটি গানে দেখা যায় তাঁকে। তবে ‘চিকনি চামেলি’ শিরোনামের সেই আইটেম গান ছবির থেকে বেশি হিট হয়। এই গানে উপস্থিতির জন্য ক্যাট পারিশ্রমিক পান সাড়ে তিন কোটি রুপি।
মল্লিকা শেরাওয়াত
মল্লিকা শেরাওয়াতকে এখন বলিউডের ছবিতে দেখা না গেলেও একসময় নানা বিতর্কিত কাজ করে বেশ আলোচনায় থাকতেন। আইটেম গানে বেশ চাহিদা ছিল এই তারকার। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া সঞ্জয় দত্ত ও কঙ্গনা রনৌতের ‘ডাবল ধামাল’ ছবির ‘জালেবি বাই’ গানে নাচার জন্য মল্লিকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন এক কোটি রুপি।
বিপাশা বসু
‘ওমকারা’ (২০০৬) ছবির ‘বিড়ি জালাই লে’ গান দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছিলেন বিপাশা বসু। এই আইটেম গানে নাচার জন্য তিনি নিয়েছিলেন ৬০ লাখ রুপি। কিন্তু এখানে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নিজের চাহিদা বাড়িয়ে দেন বিপাশা। এরপর প্রতি আইটেম গানের জন্য তিনি পারিশ্রমিক হাঁকেন এক কোটি রুপি।
জ্যাকুলিন ফার্ণান্ডেজ
তার আইটেম নম্বর নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনাও কম নয়। ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ গানে জ্যাকলিনের নাচ ছিল তার ভক্তদের মনপসন্দ। জ্যাকলিন একটি আইটেম সংয়ের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা নেন।