পাত্রী দেখার সময় অবশ্যই যে বিষয় গুলো খেয়াল করবেন
নিউজ ডেস্ক।। বায়োডাটা দেখার কাজটি শেষ করেছেন, এখন দু পক্ষের সরাসরি সাক্ষাত প্রয়োজন। যদিও ছবি ও বাস্তবের মানুষের মাঝে ফারাক থাকে তবু যে মানুষ ছবিতে অসুন্দর সে বাস্তবে সুন্দর হওয়ার সম্ভাবনা কম। এতে আপনার অনেক সুবিধা হবে এবং অনাকাংক্ষিত ঝামেলা ও খরচ হতে রেহায় পেয়ে যাবেন। অনেকেই আপনাকে অনেকভাবে প্রলোভন দেখাবে, অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলবে।কিন্ত মনে রাখবেন সবার সৌন্দয্যবোধ এক রকম নয় আবার অনেকে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আপনাকে মেয়ে দেখাতে পারে তাই বায়োডাটা দেখে আগেই বাছাই করে নেয়া ভাল।
পাত্রী দেখার পূর্বে যে বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখা ভালো –
যখন পাত্রী দেখতে যাবেন তখন যতটা সম্ভব আধুনিক ডিজাইনের পোষাক পড়ুন। দামী এবং ভাল মানের মিষ্টি নিতে ভুলবেন না।
যতটা সম্ভব নিজের মধ্যে একটা ভদ্র বজায় রাখুন কিন্তু কথনে অভদ্র আচরন করবেন না এবং কোন প্রশ্নের প্রতি প্রশ্ন বা অতি উত্তর দেবেন না।
যখন কনে দেখবেন তখন সবার প্রথম দেখবেন তার হাত, কারন হাত দেখে তার মুখের রং সম্বন্ধে আসল ধারনা পাবেন।
কনের শারীরিক গড়ন বোঝার জন্য শাড়ী পরিহিত অবস্থায় দেখলেই ভালো আর এজন্য প্রয়োজনে মেয়ে পক্ষকে আগে হতে বলে রাখা যেতে পারে।
মেয়ের সাথে একলা (পাত্র নিজে) কথা বলুন –
এটা শুধু আধুনিকতার জন্যই জরুরী নয় বরং জরুরী তার মন-মানসিকতা বোঝার জন্য। আরও বেশি জরুরী তার বাবা মা যে জোর করে তার বিয়ে দিচ্ছে না অন্তত তা পরিষ্কার হ্ওয়ার জন্য। এসময় অবশ্যই যে প্রশ্নটি করতে পারেন তা হল – আমরা তো একটা সম্পর্কের জন্য এখানে মিলিত হয়েছি, এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি? বা জেনে নিতে পারেন তার কোন ব্যক্তিগত পছন্দের মানুষ আছে কি না? মেয়ের উত্তর হতে তার মনোভাব বুঝতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে কোন প্রকার লাজ-লজ্জার কোন অবকাশ নেই কারন এতে দুটি মানুষের সারা জীবনের প্রশ্ন জড়িত।
মেয়ের উচ্চতা বোঝার জন্য আশপাশের কারো সাথে তার উচ্চতার তুলনা করতে পারেন।
খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে কখনই আগ বাড়িয়ে কিছু নেবেন না আর অতি ভোজন তো কখনই নয়।
প্রথম দেখায় হতো আপনার পাত্রীকে ভাল নাও লাগতে পারে এবং আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন যে এখানে আপনি বিয়ে করছেন না তারপরও আপনা আচরনে সেটা বুঝতে না দেওয়াই উত্তম কারন এতে কন্যা পক্ষ মনে শুধু খুব কষ্টই দেওয়া হবে না বরং আপনার ভবিষ্যৎ পাত্রী খোঁজার ক্ষেত্রেও তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং ভদ্র আচরনের কোন বিকল্প নাই।
একসময় পাত্রীর অনেক কিছু খুটিয়ে দেখা হত, তার চুল হতে শুরু করে পায়ের পাতা পযর্ন্ত ।কিন্তু এখনকার যুগে তা সম্ভব নয়। কিন্তু সম্ভব না হলেও যতটা সম্ভব বেশি সময় নিয়ে দেখবেন এবং পরিবারের তাদেকেই সাথে নিবেন যাদের ভাল লাগা এবং না লাগার উপর আপনার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। পরিবারের সকল সদস্যরা মিলে দল বেঁধে পাত্রী দেখতে যাবেন না। তবে হ্যাঁ পরিবারের সব সদস্যকে রাজি করিয়ে বিয়ে করবেন – এমনটা আশা না করাই ভাল। কারন ঐ যে আগেই বলেছি সবার সৌন্দয্যবোধ এক রকম নয়। সেক্ষেত্রে আপনি নিজের বাবা-মা এবং নিজের মতামতকে প্রধান্য দিন।
কনে দেখার পর কখনই পাত্রী পক্ষকে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানাতে দেরী বা তাড়াহুড়া করবেন না। আবার খুব রুঢ়ভাবে কখনই কাউকে প্রত্যাখান করবেন না। আমাদের সমাজে অনেকেই আছে যারা বিয়ে নামক পবিত্র সম্পর্কটাকে একটা ব্যবসায়িক তথা লাভ ক্ষতির ব্যাপার মনে করেন। তারা অর্থ বিত্ত ও সামাজিক অবস্থান লাভ করার একটি হাতিয়ার হিসাবে বিবাহকে বিবেচনা করে যা নিঃসন্দেহে একটি নিন্দনীয় কাজ। দুটি মানব-মানবীর ভাল লাগা, ভালবাসাই হতে পারে বিয়ের মূলমন্ত্র অন্য কিছু নয়। অনেকেই একটি পাত্রী দেখার পর আরো ভাল অফারের খোঁজে নেমে পড়েন এবং আগের পক্ষকে হ্যাঁ/না কিছুই বলেন না। অনেক সময় আপনার অনেক নিকট আত্মীয় এরুপ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। তখন যদি তাদের কথায় কান দেন তবে শেষে একুল-ওকুল দুকুলই হারাতে পারেন। সুতরাং এমনটা কখনই করবেন না।
কেননা বিয়ে শুধু একটা সামাজিক অনুমোদন নয় বরং দুটি মানব-মানবীর সারাজীবন এক সাথে কাটানো জন্য জীবন সঙ্গী হিসাবে পরস্পরকে কাছে পাবার একটা দরজা বিশেষ। যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করা খু্বই সোজা। কিন্ত আমরাই এই কাজটি জটিল করে তুলি। সুতরাং আসুন সকল প্রকার জটিলতা পরিহার করে সচেতন ভাবে খুঁজে নেই নিজের মনের মানুষটিকে।