ধরা খেলেন ১০ সুন্দরী সোনা পাচারকারী
নিউজ ডেস্ক: হংকংয়ের পুলিশ লন্ডনে অবৈধ সোনা চোরাচালান চক্রের ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে, যাদের মধ্যে অাছেন ১০ সুন্দরী নারী। ওই চোরাচালান চক্রের কারণে ৩৩ জন ব্যক্তি ২৪ লাখ ডলার সমমূল্যের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সাইথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
১২ জুলাই, বৃহস্পতিবার পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতারের কথা জানায়।
চোরাচালান চক্রের কারণে আরও ৩১ ব্যক্তি ৭ মিলিয়ন হংকং ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। হংকং পুলিশের কমার্শিয়াল ক্রাইম ব্যুরোর ৩০০ কর্মকর্তা দুটি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির আটটি অফিস ও ২৭টি ফ্ল্যাটে এক জোরদার তল্লাশি অভিযান চালানোর পর এদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বয়স ১৮ থেকে ৫৩ বছর।
কমার্শিয়াল ক্রাইম ব্যুরোর প্রধান মারিনা ইন হিউ-ইয়ু বলেন, ‘এই চক্রটি সম্ভাব্য ব্যবসায়ীদের ধরার জন্য অল্পবয়সী, বিশেষ করে হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েট আকর্ষণীয় মেয়েদের ভাড়া করতো এবং সামাজিক মাধ্যমে এসব মেয়েদের ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের কাবু করত। এসব মেয়েরা নিজেদেরকে ‘ব্যবসায়ী পরামর্শদাতা’ হিসেবে পরিচয় দিত।’
হিউ-ইয়ু বলেন, ‘এসব মেয়েরা তাদের সম্ভাব্য মক্কেলকে লন্ডনে অল্প ঝুঁকিতে সোনা চোরাচালানের জন্য মিষ্টি ভাষায় নানা প্রলোভন দেখাত। লন্ডনে সোনাচালানের বিনিময়ে তাদের বিশাল অর্থ লাভ, এমনকি তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রলোভন পর্যন্ত দেওয়া হতো।
এ মেয়েরা নিজেদেরকে সফল বিনিয়োগ পরামর্শদাতা হিসেবে দাবি করত। এমনকি মক্কেলদেরকে প্রলুব্ধ করার জন্য তারা সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের দামি গাড়ি, ফ্ল্যাটসহ আকর্ষণীয় জীবন-যাপনের ছবি শেয়ার করত। ঘটনার শিকার অনেক ব্যক্তি এসব মায়েদের কথার প্রলোভনে পড়ে অর্থ বিনিয়োগ করেছে, তাদের পক্ষ থেকে সব মেয়েদেরকেই চোরাচালানের কাজ করার অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু মেয়েদেরকে কখনো বাস্তবে দেখেনি। এমন ঘটনাও ঘটেছে।’
হিউ-ইয়ু জানান, কিছু কিছু কোম্পানি অল্পবয়সী মেয়েদেরকে এভাবে ব্যবহার করে তাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ ৩৬০ গুণ পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।