এরপর গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেবেকা সুলতানা মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবনটির নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
নির্মাণাধীন চারতলা ওই ভবনের মালিক ফজলুল হক জয়দেবপুরে একটি খাবারের দোকান চালান। গত প্রায় দুই বছর আগে তিনি ওই ভবনটির নির্মাণ করছেন বলে স্থানীয় দোকানি এনামুল হক জানান। ভবনের প্রথম দুটি তলা এক নকশায় তৈরি করে দ্বিতীয় তলার গিয়ে তিনি মূল খুঁটি ছেড়ে অন্য জায়গায় খুঁটি দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ তলা নির্মাণ করছিলেন অন্য নকশায়।গত ২৩ সেপ্টেম্বর শারজিল হোসেন শান্ত নামে এক ব্যক্তি ওই ভবনের ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে লেখেন- ‘আরেকটি রানা প্লাজার অপেক্ষায় বাংলাদেশ’ ।
গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেবুবুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ভবনের বেইজমেন্ট থেকে একটি খুঁটির ওপরেই আরেকটি খুঁটি স্থাপন করতে হবে। ছাদে আলাদা জায়গায় খুঁটি স্থাপনের সুযোগ নেই। ছাদের পুরুত্ব থাকতে হবে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি।“কিন্তু এ ভবনটিতে কোনো নিয়ম মানা হয়নি। কোনো প্রকৌশলী এমন নকশা দিতে পারেন না। দেখে মনে হচ্ছে, মালিক নিজেই এমন ডিজাইন করে ভবনটি নির্মাণ করেছেন। ভবনের একপাশে ডোবা রয়েছে; সেটাও আমলে নেওয়া হয়নি। তাছাড়া ভবনটির পাশ ঘেঁষে হাই পাওয়ার বৈদ্যুতিক লাইন চলে গেছে, ফলে ভবনটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
ভবনটি নির্মাণে অনুমোদন তো নেওয়াই হয়নি; বরং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু জায়গাও অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে বলে জানান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত খন্দকার।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তারা যখন পরিদর্শনে যান, তখন সেখানে কয়েকজন কাজ করছিল। কিন্তু পরে তারা পালিয়ে যায়। প্রশাসনের লোকজন দেখে ভবন মালিকও গা ঢাকা দেন। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ইউএনও রেবেকা সুলতানা বলেন, ওই ভবন নির্মাণের বিষয়ে মালিকের বক্তব্য জানতে চেয়ে তাকে নোটিস পাঠানো হবে।