শুক্রবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১৩ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘চাকরিজীবনে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়িনি, দোয়া করেন যেন মুক্তি পাই’

নিউজ ডেস্ক।। ‘না, কোনো সুখবর নেই। দুই প্রোভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার এখনও অবরুদ্ধ। টেকনিক্যাল কারণে ভিসি স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। তবে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করছেন। বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সমাধান হচ্ছে না। কয়েক বছরের চাকরিজীবনে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়িনি। দোয়া করেন যেন মুক্তি পাই।’ বুধবার দিবাগত রাতে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বিএসএমএমইউ’র শীর্ষ এক কর্মকর্তা।

মোবাইল ফোনে তিনি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে তাকে গভীর রাতেও অন্যান্য কর্মকর্তাদের পাশে থাকতে হচ্ছে।
বুধবার ‍দুপুর থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক চিকিৎসকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় নিয়োগ পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। স্থগিত পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কয়েকশ চিকিৎসক।পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমানকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।

সেইসঙ্গে অনতিবিলম্বে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
পরবর্তীতে প্রোভিসিকে (শিক্ষা) উদ্ধার করতে গিয়ে প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোজাফফর হোসেন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. আবদুল হান্নানও অবরুদ্ধ হন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের সরকারদলীয় পরিচয় দিয়ে দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণ ও শুধু তাদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন। গত কয়েকদিন যাবত তারা ভিসি ও প্রোভিসিসহ সকলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। সূত্র: জাগোনিউজ