১৬ বছরের বিরল দৃশ্য, বাঁ হাতি স্পিনার ছাড়া বাংলাদেশ!
স্পোর্টস ডেস্ক: অলিখিত সেমিফাইনালে দলে দু-একটা পরিবর্তন আসতে পারে, এটা ভাবা হয়েছিল। টসে জেতার পর তবুও মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা চমক জাগাল। হাতের আঙুলে চোট পেয়ে সাকিব আল হাসান নেই দলে, তাঁর বদলি মুমিনুল হক। চমকের তীব্রতা বাড়ল একটু পড়ই যখন জানা গেল, নাজমুল ইসলামও বাদ পড়েছেন। তাঁর স্থলে একাদশে এসেছেন রুবেল হোসেন। দ্বিতীয়বার শোনার সুযোগ নেই বলে অন্যান্য ওয়েবসাইট ও টুইটারের আশ্রয় নিয়ে নিশ্চিত হতে হলো, আসলেই দলে নেই নাজমুল।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই অভিষেক হয়েছিল নাজমুলের। শেষ বলের জয়ে কোনো উইকেট পাননি। ফিল্ডারের মাখনগলা হাত তাঁকে সে অর্জন থেকে বঞ্চিত করেছে। কিন্তু ৮ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তার পরও তাঁর বদলে রুবেলের দলে ঢোকা প্রশ্ন জাগাত না। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রুবেলের অভিজ্ঞতার দরকার হতে পারে দলের। আর আগের ম্যাচেই মাত্র দুই পেসার নিয়ে নামায় শেষ দিকে মাশরাফি ও মোস্তাফিজকে ক্র্যাম্প নিয়ে বল করতে হয়েছিল। আর উইকেট একটু সবুজাভ থাকায় দলের হয়তো মনে হয়েছে, একজন পেসার থাকলেই ভালো।
ঝামেলাটা বাধিয়েছে সাকিবের চোট। আবুধাবির উইকেটে স্পিনাররা কত গুরুত্বপূর্ণ তা পুরো এশিয়া কাপেই দেখা গেছে। আজ ম্যাচের আগে পিচ দেখতে গিয়েও রমিজ রাজা জানিয়েছেন, এ উইকেটে ফ্লাডলাইটের আলোতে স্পিনারদের লেলিয়ে দেওয়া উচিত। আর সাকিব না থাকায় আজ বাংলাদেশ দলে মাত্র একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার (মিরাজ)। পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপে দুই ওপেনারের পর একের পর এক ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিন থেকে সাত পর্যন্ত সবাই ডানহাতি। এমন অবস্থায় একজন বাঁহাতি স্পিনার খুব বেশি দরকার ছিল।
এমন দিনেই চার বছর পর বাংলাদেশ দলে কোনো স্পেশালিস্ট বাঁহাতি স্পিনার নেই! ২০১৪ সালের আগস্টেই সর্বশেষ কোনো বাঁহাতি স্পিনার ছাড়া ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। আর গত ১৬ বছরে মাত্র দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ দলে কোনো স্পেশালিস্ট বাঁহাতি স্পিনার নেই। অলিখিত সেমিফাইনালের দিনেই এমন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা হয়তো একটু বেশিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। কারণ, এ ম্যাচে পঞ্চম বোলারের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে হবে মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য ও মুমিনুলকে!