বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘আল্লাহর দৃষ্টিতে আমরা সবাই ভাই’

মুসলিম অধিকার আন্দোলনের নেতা ম্যালকম এক্সের মেয়ে ইয়াসা শ্যাভেজ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান আমার বাবার উত্তরাধিকারকে প্রতিনিধিত্ব করছে। শ্যাভেজ আরও বলেন, আমার বাবা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করেছে। আল্লাহর দৃষ্টিতে আমরা সব মুসলিম ভাই। তিনি সব ধর্মবর্ণ ও জাতি নিয়ে কাজ করেছেন।

সোমবার এরদোগান ও তার স্ত্রী এমিনি এরদোগান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গেলে শ্যাভেজ ও তার বোন কিউবিলা শ্যাভেজ এরদোগানের সঙ্গে দেখা করে এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে নিউইয়র্কের আনাদলু এজেন্সির প্রতিনিধিকে শ্যাভেজ বলেছিলেন, এ ধরনের নেতা বিশেষ করে মানবমর্যাদা, সমবেদনা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতীক। আমার সঙ্গে দেখা করায় সম্মানবোধ করছি।

শ্যাভেজ আরও বলেন, এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক বিশেষত অর্থপূর্ণ কারণ প্রেসিডেন্ট আমার বাবার প্রতিনিধিত্ব করছে।

শ্যাভেজ বলেন, তিনি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আর সত্যের পক্ষে ছিলেন। তিনি কখনো অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতেন। যখন কোনো অন্যায় হতো তখন তা পরিবর্তনের চেষ্টা করতেন।

শ্যাভেজ তুরস্কের মানবিক সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, বিশেষত বিশ্ব যখন নির্বাক তখন তুরস্ক কয়েক লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে এটাকে স্বাগত জানাই। তার দেশ সাড়ে ৩লাখ শরণার্থীর জন্য দরজা খুলে দিয়েছে।

শ্যাভেজ আনাদলুকে আরও বলেন, তুরস্কের জনগণ সত্যিকারে ভদ্র। তারা জাতিবর্ণ বিবেধ করে না।শ্যাভেজ সোমাবার নিউইয়র্কে তুরস্কের সেতা ফাউন্ডেশনের মানবতাবাদী সাহায্য এবং শরণার্থী অনুষ্ঠানে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনির সঙ্গে যোগ দেন।

ম্যালকম এক্সকে সবচেয়ে প্রভাবশালী আফ্রিকান আমেরিকার একজন হিসেবে দেখা হয়, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।

১৯৪০ সালে মুসলিম জাতির জন্য কারাবরণ করেন। কারান্তরীণ থাকাবস্থায় ম্যালকম লিটল থেকে নাম পরিবর্তন করে ম্যালকম এক্স রাখেন। কারামুক্তির পর তিনি তীর্থযাত্রী হয়ে হজ করে সুন্নি মুসলমানে পরিণত হন।

ম্যালকম এক্স আমেরিকান সমাজে সত্যিকারের ইসলামের নাগরিক অধিকার নিয়ে বিজয়ী হয়ে ওঠেন। তিনি তার জীবদ্দশায় দুবার আফ্রিকার পরিদর্শন করেন। এছাড়া কালো বর্ণের জনগণের উদারিকরণের পাশাপাশি সব নিপীড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে অনেক বক্তৃতা দেন।

তিনি নিউইয়র্কে ১৯৬৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বক্তৃতা চলাকালীন সময়ে তিন আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ