চাপে বাংলাদেশ সৌম্য-মুমিনুল-লিটনকে হারিয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক।। মাত্র ৫ রানের সৌম্যর উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। খেলায় ফেরার আগেই এরপর মুমিনুল হক ও লিটন দাসের উইকেট হারায়। মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল।
দলকে উত্তরণের চেষ্টা করছেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫.২ ওভারের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩ রান।
এক বছর পর সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়ে শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
দলীয়৫ রানে জুনায়েদ খানের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। তার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল।
সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আবুধাবিতে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এশিয়া কাপের আজকের ম্যাচটি অঘোষিত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছে।
দুই ম্যাচ জিতে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। অন্যদিকে দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে আফগানিস্তান।
ফলে সুপার ফোরের দুটি ম্যাচের একটি করে জেতা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একই বিন্দুতে। দুদলের সামনেই অভিন্ন সরল সমীকরণ। জিতলে ফাইনাল, হারলে বিদায়।
এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে রূপ নেয়া আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
তামিমের জায়গায় টানা তিন ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়েছিল তরুণ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে। তিন ম্যাচেই ব্যর্থ তিনি। আরেক ওপেনার লিটন দাসও দিতে পারছেন না প্রত্যাশার প্রতিদান।
ধারাবাহিক ব্যর্থতায় আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত ‘সেমিফাইনালে’ ওপেনিংয়ে শান্তর পরিবর্তে খেলছেন সৌম্য সরকার।
আর আঙুলের ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে খেলছেন মুমিনুল হক সৌরভ। নাজমুল ইসলাম অপুর পরিবর্তে খেলছেন অভিজ্ঞ পেস বোলার রুবেল হোসেন।
বাংলাদেশের একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ: ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, হাসান আলী, জুনায়েদ খান, ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।