পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ডাকা বাংলা বনধে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে বুধবার বিজেপির ডাকা আধা বেলা (১২ ঘন্টা) হরতালে একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও সরকারি বাস ভাঙচুর আবার কোথাও হরতালকে সমর্থন করতে গিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর চড়াও হল রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। গত ২০ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এই হরতালের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
এদিন সকাল থেকেই হরতালকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়ায়। হরতালকে সফল করতে ক্যালকাটা ট্রামওয়েস কোম্পানি (সিটিসি)-এর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়। কোচবিহারেও সরকারি বাসে ভাঙচুর করা হয় ও অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয় বলে অভিযোগ।
কলকাতা থেকে শহরতলীর দিকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন চলাচলেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। মধ্যমগ্রাম, অশোকনগর, ঠাকুরনগর, শান্তিপুর, কোন্নগর, ক্যানিং, লক্ষীকান্তপুরসহ একাধিক স্টেশনে রেললাইনে নেমে ও ওভারহেডের তারের ওপর কলাপাতা ফেলে হরতাল সমর্থনকারীরা অবরোধ করলে রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। বারাসাত-টাকি রোডে কংগ্রেস ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকের মধ্যে বচসায় এক বিজেপি নারী কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে হরতালকে ঘিরে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুধু কলকাতা শহরেই মোতায়েন করা হয়েছে ৪ হাজার পুলিশ কর্মী। এছাড়াও রাজ্যের সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে এবং হরতালকে ব্যর্থ করতে এদিন সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
যদিও ব্যারাকপুর, আসানসোল শিল্পাঞ্চল এলাকায় হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি। সেখানে জনজীবন আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে। হরতালে কোন প্রভাব পড়েনি কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। এখনও পর্যন্ত বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
কলকাতাসহ আশেপাশের জেলাশহরগুলিতেও বাস, ট্যাক্সি চোখে পড়লেও যাত্রীসংখ্যা কিছুটা কম ছিল। হরতালে অশান্তির আশঙ্কায় বেশ কিছু স্কুল আগে থেকেই ছুটি ঘোষণা দিলেও কিছু আবার খোলা ছিল। যদিও গণ্ডগোলের ভয়ে সেই স্কুলগুলিতেও উপস্থিতির হার ছিল কম।