নানা’র বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস নেই কোনও নায়িকার
বলিউডে যৌন হেনস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মুখ খুলেছেন বিভিন্ন অভিনেত্রী। যার মধ্যে বিদ্যা বালান, রাধিকা আপ্তেসহ রয়েছেন আরও অনেকে। আর এবার বলিউডে হেনস্থা নিয়ে মুখ খুললেন বাঙালি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত।
এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রী দত্ত বলেন, ‘হর্ন ওকে প্লিস’ এর শুটিংয়ের সময় বলিউডের এক অভিনেতা তাকে হেনস্থা করেন। একটি গানের সিকোয়েন্সে ওই অভিনেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের কথা ছিল। আর সেই সময়ই তার সম্পর্কে সবার সামনে এমন মন্তব্য করা হয়।
এমনকী তাকে সবার সামনে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তনুশ্রী। কিন্তু সবকিছু দেখে এবং জেনেশুনেও ওই সময় ‘হর্ন ওকে প্লিস’ এর সেটে থাকা প্রত্যেকে চুপ ছিলেন। কেউ তার হয়ে ওই অভিনেতাকে কোনও কথা বলেনি।
তনুশ্রী দত্তের ওই স্বীকারোক্তির পর থেকে গোটা বলিউড জুড়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। এরপর জুম এর সাক্ষাতকারে হাজির হয়ে সরাসরি বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তনুশ্রী।
তিনি অভিযোগ করেন, বলিউডে এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন নানা পাঠেকরের হাতে যাদের হেনস্থা হতে হয়েছে। নানা পাঠেকর ভীষণই বদমেজাজি। বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে তিনি প্রায়শই খারাপ ব্যবহার করেন। ইন্ডাস্টিতে এ কথা প্রত্যেকেরই জানা। কিন্তু কেউ কখনও নানার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পান না।
‘হর্ন ওকে প্লিস’ এর শুটিংয়ের সময় নানা পাঠেকরের ওই ব্যবহারের পর সংশ্লিষ্ঠ অভিনেতা তার রাজনৈতিক দলকে সমস্ত বিষয়টি জানান এবং ওই রাজৈতিক দল সিনেমার সেটে হাজির হয়ে ভাঙচুর চালায়। তাকে তার ভ্যানিটি ভ্যান থেকেও জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ‘হর্ন ওকে প্লিস’ এর প্রযোজকও সমস্ত কিছু জেনে বিষয়টিকে নানাকে মদদ দিয়ে যান। জনপ্রিয়তা হাসিলের জন্যই ওই সময় সিনেমার প্রযোজক এই ধরনের খারাপ ব্যবহার করেন বলেও ফুঁসে ওঠেন তনুশ্রী।
নানা সহ ইউনিটের অনেকের খারাপ ব্যবহার দেখে এরপর সেখানে হাজির হন তনুশ্রীর বাবা। বিষয়টি নিয়ে কেন নানা পাঠেকরের সঙ্গে কথা বলা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপরই গাড়ি ডেকে তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয় বলে জানান তনুশ্রী।
তবে ২০০৮ সালের এই ঘটনার পর দেশের বেশ কিছু বড় সংবাদমাধ্যম তাদের পাশে ছিল। কিন্তু নানার রাজনৈতিক দলও তাদের বিরোধিতা শুরু করে। সংবাদমাধ্যমকে পাশে পেয়ে তারা মনের জোর পেলেও নানা পাঠেকরের রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তনুশ্রী দত্ত।