সাকিব-তামিম নেই, মুশফিক থাকবেন তো ফাইনালে?
স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের এশিয়া কাপে ভারত নাকি ‘বি’ দল নিয়ে এসেছে। বিরাট কোহলি, মোহাম্মদ শামির মতো ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দুই নেতাকে ছাড়াই এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে চায় ভারত। কিন্তু এখন বাংলাদেশ চাইলেই বলতে পারে, বাংলাদেশও তো অমন ‘বি’ দল নিয়ে ফাইনালে চলে এল। দলের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই তো পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
দুই বন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ শেষ কবে ম্যাচ জিতেছে, সে প্রশ্নের উত্তরে বেশ পেছনে যেতে হবে। বছর পাঁচেক আগের বলে সে স্মৃতিতে ধুলো জমেছে। অবশ্য সে জয়ের চেয়েও এশিয়া কাপের এ জয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত এক বছরে বাংলাদেশের ব্যাটিং মানেই যেন তামিম ইকবাল। আর সাকিব তো বহুদিন ধরেই দুই দিক সামলাতে ব্যস্ত। চোট থাকার পরও তাই বলে কয়ে এশিয়া কাপ খেলানোর কারণটাও এই সাকিব-নির্ভরতা।
তামিমকে ছাড়া দলের অবস্থা এশিয়া কাপের পাঁচ ম্যাচেই টের পাওয়া গেছে। একদিনও দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা। আর সাকিবও চোট নিয়ে খেলতে নেমে ব্যাটে দলকে খুব বেশি কিছু দিতে পারেননি। কিন্তু তাঁর উপস্থিতিই দলকে ভরসা দিয়েছে। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ কিংবা মিঠুনের ব্যাটে কাজ চালিয়ে নিয়েছে দল। বল হাতে অবশ্য সাকিব ছিলেন নিজের মতোই। কিন্তু আজ অলিখিত সেমিফাইনালে সাকিব মাঠেই নামতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর আঙুলের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাওয়ায় দেশের পথে সাকিব। এমন দিনে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা আবারও হতাশ করেছেন দলকে। মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের মতোই আবারও হাল ধরেছেন মুশফিক। আবারও মিঠুনে পেলেন যোগ্য সঙ্গ। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে গড়েছেন ১৪৪ রানের জুটি। মিঠুন আউট হলেও মুশফিক নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন, দলকে দুই শ পার করে দিয়েছেন। এরপরই প্রথমবারের মতো ক্যারিয়ারে ৯৯ রানে আউট হওয়ার দুঃখে পুড়েছেন। কিন্তু এর আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, তামিম-সাকিববিহীন দলকে ভরসা দেওয়ার সব মুশফিকের কাঁধেই। কিন্তু মুশফিকও এ চাপ বুঝে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু তাঁকে পাবে তো বাংলাদেশ?
এশিয়া কাপের শুরুতেই ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু সে ইনিংসের জন্য ২৪ ব্যথানাশক ইনজেকশন নিতে হয়েছিল তাঁকে। আজও ইনিংসের মাঝপথেই পায়ে ব্যথা পেয়েছেন। এরপরও ইনিংস টেনে নিয়েছেন। ফিল্ডিংয়েও শুরু থেকেই ছিলেন। দারুণ একটা ক্যাচও নিয়েছেন উইকেটের পেছনে। কিন্তু আবুধাবির প্রচণ্ড গরম ঠিকই শোধ নিয়েছে এত পরিশ্রমের। ইনিংস ২০ ওভার পেরোনোর আগেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুশফিককে। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে আর মাঠে নামা হয়নি আর। এ কারণেই শঙ্কা জেগেছে, শরীরের ওপর যে ধকল যাচ্ছে, সেটা ফাইনালের আগে কাটিয়ে উঠতে পারবেন তো? নাকি তামিম-সাকিবের পর মুশফিককে ছাড়াই ফাইনাল খেলতে হবে বাংলাদেশকে।