ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার জয়ের কারণ ‘আবেদনময়ী’ প্রেসিডেন্ট!
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া পৌঁছে গেছে ক্রোয়েশিয়া। আর ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে যাওয়ার অন্যতম নায়িকা হচ্ছেন সেই দেশেরই দেশেরই আবেদনময়ী প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্র্যাবার কিতারোভিচ।
কোলিন্ডাকে অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে আবেদনময়ী প্রেসিডেন্ট বলে থাকেন। ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ক্রোয়েশিয়া প্রজাতন্ত্রের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। জনপ্রিয় এ নেত্রীই দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগেই যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মেকে একপ্রকার নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্র্যাবার কিটারোভিচ। পেছনে টেরিজা মের নামও লেখা থাকে। জার্সিটা বেশ সাদরেই গ্রহণ করেন ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী। সেই মুহূর্তে দুজনকেই বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল।
চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই রাশিয়ায় আছেন কোলিন্ডা। খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা যোগাতে জার্সি পরে গ্যালারিতে হাজির থাকছেন। এমনকি দলের জয়ের পর সোজা চলে যাচ্ছেন ড্রেসিংরুমেও। শেষ ষোলোতে ডেনমার্ককে হারায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচশেষে কাউকে কিছু না জানিয়েই সোজা ড্রেসিংরুমে চলে যান কোলিন্দা।
সে সময় খেলোয়াড়রা তাদের পোশাক পাল্টাননি। অনেকে গোসল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কারও পরণে ছিল শুধু শর্টস, কেউ আবার শুধু অন্তর্বাস পরে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট যে এভাবে হুট করে ড্রেসিংরুমে চলে আসবেন তা খেলোয়াড়দের কল্পনাতেও ছিল না!
শুধু ড্রেসিংরুমে যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি কোলিন্ডা। তিনি কোচ থেকে শুরু করে দলের প্রায় সকল খেলোয়াড়কে আলিঙ্গন করেন। ভালো খেলার জন্য দেন বাহবা।
অনেকেই বলছেন, প্রেসিডেন্টের অনুপ্রেরণায় নাকি ক্রোয়েশিয়ার সাফল্যের টোটকা। কোলিন্ডা যেভাবে ক্রোয়েশিয়া দলকে অনুপ্রাণিত করছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। যদিও দেশটির বিরোধী পক্ষ বলছেন, সামনের বছর নির্বাচন রয়েছে। জনপ্রিয়তা বাড়াতেই এমন কৌশল অবলম্বন করেছেন কোলিন্ডা।
আকর্ষণীয় রূপ আর শারীরিক সৌন্দর্যের জন্য আলোকচিত্রীদের ক্যামেরা সব সময় তার পিছু নেয়। সৈকতে তার বিকিনি পরা ছবি স্যোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে।
১৯৯৬ সালে জ্যাকভ কিতারোভিচের সঙ্গে বিয়ে হয় কলিন্ডা গ্র্যাবারের। তাঁদের দুই সন্তান- মেয়ে ক্যাটারিনা (১৭) এবং ছেলে ল্যুকা (১৫)। কলিন্ডা ক্রোয়েশিয়ান ছাড়াও ইংরেজি, স্প্যানিশ ও পর্তুগীজ ভাষায় কথা বলতে পারেন। এছাড়া জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইতালিয়ান ভাষা বুঝতে পারেন।