বাঞ্ছারামপুরে মৌচাষে বেকার যুবক এখন কোটিপতি
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : মৌমাছির মধু সংগ্রহের মতোই তিল তিল করে মধুচাষ শিল্পকে এগিয়ে নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর গ্রামীণ জনপদের ১০ বছর আগের বেকার ও হতাশাগ্রস্থ যুবক দাউদ মিয়া। এক্ষেত্রে সম্প্রসারণের প্রক্রিয়াটি চলেছে চাষী থেকে চাষীতে।বিদেশে না যেয়ে পিতা মোহাম্মদ মিয়ার শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে ২০০৮সালে।স্বশিক্ষিত দাউদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও আত্মবিশ্বাসকে বিনিয়োগ করেছে মৌমাছি পালন ও মধু উৎপাদন খাতে। এভাবেই মধু চাষে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন এক উদ্যমী যুবক দাউদ। নিজের মেধা, সৃষ্টিশীলতা ও নিবিড় পরিশ্রম তাকে এনে দিয়েছে এক ঈর্ষণীয় সাফল্য।উপজেলার ছয়ানীর বিস্তৃর্ন শীতকালে সরিষা ফুলের মধু ও বর্তমান বর্ষাকালে ‘রেয়ারিং’ পদ্ধতিতে জলজ উদ্ভিতের ফুল হতে মৌ সংগ্রহ করে মাসে আয় করছে ২ লাখ টাকা।শ্রমীক আছে ৪ জন।বাড়িতে ২ তালা বিল্ডিং গড়েছেন।
আজ (শনিবার)সকালে তার বাগানে গেলে সে জানায়,তার মূলধন ছিলো ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো। শুরুতে বার ছিলো ৩০টি। বর্তমানে তার বারের সংখ্যা ২৬৫ টি।সে বেকার যুবকদের অনুরোধ করে,রিস্ক নিয়ে বিদেশে যেয়ে গোলামী খাটার চেয়ে আত্ববিশ^াস নিয়ে মধু চাষ করলে সে নিজে বিনে পয়সায় প্রশিক্ষন দিয়ে দিবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা জানান,-প্রতি বাক্সে ১ টি করে রানী মৌমাছি থাকে। রানীর নিরাপত্তা বিধানে থাকে শ্রমিক ও সৈনিক মৌমাছি ছাড়াও মধু আহরণকারী মৌমাছি। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪ ধরনের মৌমাছি রয়েছে: এপিস ডরসেটা, এপিস সেরেনা, এপিস ফ্লোরিয়া ও এপিস মেলিফেরা। আমাদের দেশে রবিশস্য, গাছপালা ও ফুল-ফলে মৌচাষ করা হয়।