ছাতা মাথায় পরীক্ষা!
টিনের চালা দিয়ে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ে। তাই পরীক্ষার খাতা বাঁচাতে শিক্ষার্থীরা ছাতা মাথায় দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর একটি মাদরাসায়। উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উত্তর-পশ্চিম কলারণ আজাহার আলী দাখিল মাদরাসার এবারের অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা শিক্ষার্থীরা ছাতা মাথায় দিয়ে দিচ্ছে।
জানা গেছে, ইন্দুরকানীর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকারিভাবে এখনও কোনো ভবন নির্মিত হয়নি। সেখানে স্থানীয় দানে তিনটি টিনশেড ঘরে কাঠের বেড়া দিয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চলে।
কিন্ত টিনের ছাউনিও দুই বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। এতে ব্যাহত হয় পাঠদান। তার পরও বাধ্য হয়ে ছাতা মাথায় পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
জরাজীর্ণ ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, পশ্চিম পাশের একটি ঘরের ছয়টি কক্ষ পলিথিনের ছাউনি দিয়ে ঢাকা। এ ছাড়া অন্য শ্রেণিকক্ষগুলোতে টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ায় শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে আবার কেউবা বৃষ্টিতে ভিজে পরীক্ষা দিচ্ছে।
ওই মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ফাতিমা আক্তার জানায়, টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে পরীক্ষার খাতা ভিজে যাচ্ছে। তাই ছাতা মাথায় দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছি।
মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুস সালাম জানান, মাদরাসার তিনটি কাঁচা ঘরের একটি পরিত্যক্ত। বাকি দুটির টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। তাই শিক্ষার্থীরা ছাতা মাথায় দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর একেএম আবুল খায়ের জানান, ‘জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এই প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের জন্য তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো আছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে ভবন নির্মাণ করা হবে।’