‘দেবদাস’ সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য!
বিনোদন ডেস্ক
বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ছবি ‘দেবদাস’ শরৎচন্দ্রের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই ছবি বলিউডের সবচেয়ে বেশি বাজেটে নির্মিত ছবিগুলোর একটি। বিশাল আয়োজনে তৈরি হওয়া এই ছবির পেছনের অনেক তথ্যই জানে না দর্শক। যা জানলে চোখ কপালে উঠতে পারে যে কারোর!
২০০২ সালের সিনেমা ‘দেবদাস’। খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি বড় আয়োজনে নির্মাণ করেন এই সিনেমা। এই ছবিতে ‘পারু’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন কারিনা কাপুর। কিন্তু প্রস্তাব দেয়ার পর ফিরিয়ে দেন কারিনা।
জানা যায়, কারিনা কাপুরের বয়স তখন কম থাকায় তার মা এই কাজটি করতে দেননি। এত কম বয়সে এমন কঠিন চরিত্র করতে ঘোর আপত্তি জানান কারিনার মা ববিতা। যার ফলে সিনেমার পর্দায় আর ‘পারু’ হয়ে উঠতে পারেননি কারিনা।
এরপর ‘পারু’ চরিত্রে অভিনয় করেন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। যা কিনা এখনো বলিউডের একটি ইতিহাস হয়ে আছে। শুধু কারিনা কাপুর নন, ছবিতে শাহরুখ তথা দেবদাসের বন্ধু চুনিলালের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয় সাইফ আলী খান ও গোবিন্দকে। তারা কেউ রাজি হননি। পরে জ্যাকি শ্রফ চরিত্রটি করেন এবং দারুণ প্রশংসিত হন।
‘দেবদাস’ ছবির বাজেট ছিল ৫০ কোটি রুপি। তবে অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে, এই বাজেটের ২০ কোটি রুপিই খরচ হয়েছিলো সেট তৈরিতে। ছয়টি বড় সেটে নির্মিত হয় ‘দেবদাস’। ছবিতে ঐশ্বরিয়ার কক্ষটি ছিল কাচ দিয়ে তৈরি। এটা নির্মাণ করতে তখন খরচ হয়েছিল ১ কোটি ২২ লাখ রুপি। যা কিনা পরে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় সাত মাস পর্যন্ত।
চমকের শেষ এখানেই নয়, ছবিতে ‘চন্দ্রমুখী’ চরিত্রে অভিনয় করেন মাধুরী দীক্ষিত। তার কক্ষটি নির্মাণের জন্য খরচ করা হয় ১২ কোটি রুপি! এছাড়া ছবিটি নির্মাণের জন্য ৭০০টি প্রধান আলো এবং ৪২টি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন জেনারেটর ব্যবহার করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, যখন ‘দেবদাস’ ছবির শুটিং চলে, তখন মুম্বাইতে বিয়ের মৌসুম চলছিলো। সেই সময় মুম্বাইয়ের বাজারে আলো আর মণ্ডপের সাজসজ্জার সামগ্রীর ঘাটতি দেখা দেয়। কারণ ‘দেবদাস’ ছবির জন্য এসব সামগ্রী বিপুল পরিমাণে ক্রয় করে নেন পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালি।