বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আদাইলা কারাগারে নওয়াজ-মরিয়ম

অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে লাহোর বিমানবন্দরে গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের রাওয়ালপিন্ডির আদাইলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে। সেখানে নওয়াজ-মরিয়মের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের বরাত দিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, লাহোর বিমানবন্দরে আগমনের পর ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) কর্মকর্তারা অভিবাসন প্রক্রিয়ায় নওয়াজ শরিফ ও মরিয়মকে আটক করে। বিশেষ বিমানের মাধ্যমে তাদের ইসলামাবাদে নেওয়া হয় এবং পরে আদাইলা কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়।

এর আগে ইসলামাবাদের চিফ কমিশনার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং মরিয়ম নওয়াজকে রাখতে শিহালা পুলিশ ট্রেনিং কলেজ রেস্ট হাউসকে সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’

লন্ডন থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন নওয়াজ শরিফ ও মরিয়ম নওয়াজ। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টার দিকে লাহোর বিমানবন্দরে নামার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর অনুরোধে আদালত নওয়াজ এবং মরিয়মকে জেলখানায় পাঠানোর আদেশ দেন।

দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ফলে আগামী ২৫ জুলাই দেশটির সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। তবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজের (পিএমএল-এন) কর্মীদের সংগঠিত করতেই দেশে ফেরার ঘোষণা দেন নওয়াজ।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের একটি আদালত নওয়াজ ও তার মেয়েকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। এতে নওয়াজকে ১০ বছর ও তার মেয়ে মরিয়মকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আদালত নওয়াজ-মরিয়মের সঙ্গে ক্যাপ্টেন সফদারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। সফদার হলেন মরিয়মের স্বামী। পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট ওই রায় দেন। কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি নওয়াজকে ৮০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড ও মরিয়মকে ২০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। ক্যাপ্টেন সফদার গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে।

এর আগে ২০১৫ সালে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসে নওয়াজ শরিফের। এ কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয় তাকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। আদালত তাকে রাষ্ট্রীয় যেকোনো পদে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে আদালতের রায়ে দলীয় প্রধানের পদও ছাড়তে হয় নওয়াজকে।