জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে তৌকীরের চার পরামর্শ
বিনোদন ডেস্ক : ২০১৬ সালে সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল ‘অজ্ঞাতনামা’। আর সে সিনেমার জন্য ২০১৮ সালে পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এর আগে এর আগে তার পরিচালিত ছবি ‘জয়যাত্রা’ ও ‘দারুচিনি দ্বীপ’ কয়েকটি শাখায় জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছিলো। তাই এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি একদিকে যেমন আনন্দিত। অন্যদিকে তিনি চান এই পুরস্কার আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠুক।
চলচ্চিত্রের জন্য রাষ্ট্রীয় এই সর্বোচ্চ স্বীকৃতি আরও প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্ববহ করে তোলার জন্য চারটি পরামর্শ রেখেছেন তৌকীর। নিজের ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টেই তিনি এসব কথা বলেন।
তৌকিরের পরামর্শ হল, চলচ্চিত্রের এই সর্বোচ্চ পুরস্কারের সেশনজট দূর করা দরকার। ২০১৬ সালের পুরস্কার ২০১৮-তে না হয়ে ২০১৭ এর মধ্যে হলেই ভালো হতো। না হলে আনন্দ যেমন ফিকে হয়, একইসঙ্গে দর্শকের মনেও গুরুত্ব কমে, এ ধরণের একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও গুরুত্ব সহকারে সুন্দর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় হওয়া উচিত। না হলে সৌন্দর্যহানি ঘটে, জুরি বোর্ডেরও আরো দায়িত্ব সহকারে সকল তদবির, ব্যক্তি ও গোষ্ঠি স্বার্থের ওপরে উঠে বিচারকার্য সম্পন্ন করা জরুরি, নিরপেক্ষতার ঘাটতি অযোগ্য লোকের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়। তাতে সার্বিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব হানি হয় ও সবশেষ পরামর্শ হল কোনো শাখায় মানসম্মত প্রতিযোগি না থাকলে সেই শাখায় ঐ বছর পুরস্কার নাও দেয়া যেতে পারে।
তৌকীর বলেন, মনে রাখতে হবে এই পুরস্কার চলচ্চিত্রের জন্য অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। পক্ষপাতিত্ব বা তদবিরের সংস্কৃতি ত্যাগ না করলে ক্ষতি সার্বিকভাবে এদেশের চলচ্চিত্রেরই।
তৌকীর আহমেদের পরবর্তী ছবি ‘ফাগুন হাওয়ায়’। ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে নির্মিত এ ছবি আছে মুক্তির অপেক্ষায়। এতে বাংলাদেশের তিশা, সিয়াম ভারতের ইয়াশপাল শর্মাসহ অন্যান্যরা অভিনয় করছেন।