শনিবার, ১৪ই জুলাই, ২০১৮ ইং ৩০শে আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ঢাকা থেকে অপহৃত স্থপতিকে চোখ বেঁধে ছেড়ে দেয়া হয় খুলনায়

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা থেকে অপহৃত আবাসন নির্মাতা কোম্পানি শেলটেকের স্থপতি বিএমএ মাহফুজ নবীনকে চোখ বেঁধে খুলনায় ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে, গত চারদিন তিনি কোথায় ছিলেন- এ বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি নবীন।

বৃহস্পতিবার নবীনের মামা খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নবীনের পায়ের তলা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে নেশাজাতীয় কিছু সেবন করানো হয়েছে। এ কারণে শারীরিকভাবে সে বেশ অসুস্থ, চিকিসৎক তাকে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।’

এর আগে গত ৮ জুলাই সকালে মাহফুজ নবীন ঢাকার কলাবাগানে অফিসে যাওয়ার জন্য রাজধানীর ভাষানটেক এলাকার বাসা থেকে বের হওয়ার পর অপহৃত হন। ঘটনার পরদিন ৯ জুলাই তার স্ত্রী জান্নাতুল এশা ভাষানটেক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর গত বুধবার রাত ৩টার দিকে তাকে একটি মাইক্রোবাস থেকে খুলনা মহানগরীর গোয়ালখালি সংলগ্ন আবু নাসের হাসপাতাল এলাকায় নামিয়ে দেয়া হয়।

খুলনার খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। খবর পেয়ে তিনি নবীনের মামা আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম বাশারের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু অসুস্থ থাকায় কারা, কেন, কিভাবে তাকে অপহরণ করেছে- সে বিষয়টি জানা সম্ভব হয়নি। তবে, এ বিষয়ে ভাষানটেক থানা পুলিশ তদন্ত করতে পারে।

নবীনের মামা আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম বাশার বলেন, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে নবীনকে চোখ বেঁধে একটি মাইক্রোবাস থেকে খুলনার আবু নাসের হাসপাতাল এলাকায় নামিয়ে দেয়া হয়। নামিয়ে দিয়ে বলা হয়, সোজা হাঁটবি, ডানে-বায়ে, পিছনে তাকাবি না, তাকালে গুলি করবো। এ কারণে সে বেশ কিছুক্ষণ সামনের দিকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে চোখ খুলে গোয়ালখালি জাহাজ চত্বর দেখতে পেয়ে বুঝতে পারে সে খুলনায়।

বাশার জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে নবীন তার খালিশপুরস্থ মানসি বিল্ডিংয়ের বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি করে। কিন্তু তারা ঘুমিয়ে থাকায় টের পাননি। পরে পুরাতন থানা রোডস্থ তার ভগ্নিপতি ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি করে অচেতন হয়ে পড়ে। তখন তাকে আবু নাসের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে কারা মাইক্রোবাসে করে তাকে খুলনায় নিয়ে আসে, গত চারদিন তিনি কোথায় ছিলেন- এসব বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি নবীন।