সৌন্দর্যবর্ধক হিসাবে সজনে ডাঁটার ব্যবহার!
সজনে ডাঁটা আমাদের সকলেরই অত্যন্ত পরিচিত। এর স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই মোটামুটি জানা আছে। বিভিন্ন তরকারি, স্যুপ এবং ডাল, আচার ইত্যাদি প্রস্তুতিতে সজনে ডাঁটা ব্যবহার করা হয়। সজনের শুধুমাত্র ডাঁটাই নয়, এই গাছের বিভিন্ন উপাদান যেমন ফুল, পাতা, ফল, বীজ সবকিছুতেই কিছু না কিছু গুণাগুণ আছেই। ত্বকের যত্নের জন্যও সজনের গুরুত্ব অপরিসীম। আর সারা বিশ্বের মানুষ আজ সৌন্দর্যবর্ধক হিসাবে সজনের ব্যবহার শুরু করেছে।
সজনের ডাঁটা কীভাবে আমাদের ত্বকের উপকার করে জেনে নিন-
১) ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে- সজনের তেল এবং সজনে পাতার গুঁড়ো ত্বকের বলিরেখা এবং ত্বকের ক্ষত দূর করে। এছাড়াও সজনে আমাদের ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের কুঁচকানো ভাব, বলিরেখা এবং বিভিন্ন দাগ ছোপ দূর করে আমাদের ত্বকের যৌবন বজায় রাখে।
২) ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখে- সজনের তেল ঠোঁটের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। এটা স্পর্শকাতর ত্বক এবং ঠোঁটের যত্নে ব্যবহৃত হয়।
৩) ব্রণর সমস্যা দূর করে- সজনের তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটা ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে ব্যবহারের আগে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
৪) টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে- টক্সিনের ফলেই ত্বকে ব্রণ এবং বিভিন্ন দাগ ছোপের সমস্যা দেখা যায়। সজনের গুঁড়ো কিংবা সজনের বীজ গ্রহণ করলে রক্ত পরিশ্রুত হয় যার ফলে ত্বক পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর হয়।
৫) ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে- সজনে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ছিদ্র বন্ধ করতে সাহায্য করে। এটা ত্বকের প্রয়োজনীয় কলিজেন প্রোটিন উৎপাদনে সাহায্য করে যা ছিদ্র বন্ধ হতে সাহায্য করে।
ত্বকের উপকারে সজনে ফেস মাস্ক যেভাবে তৈরি করবেন-
সজনে গুঁড়োর প্রচুর গুণাগুণ থাকায় এটা ফেস মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব। রোদে শুকানো সজনে পাতা ভাল করে গুঁড়ো করে পাউডার প্রস্তুত করা হয়। ফেস মাস্ক প্রস্তুতির জন্য এর সঙ্গে মধু, গোলাপ জল, লেবুর রস এবং জল প্রয়োজন।
– আধ টেবিল চামচ সজনে গুঁড়োর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ গোলাপ জল এবং আধ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিক্স করে নিন।
– ঘনত্ব বুঝে প্রয়োজনে পানি যোগ করুন। ঘন এবং মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
– সকালে এটা মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
– পরিষ্কার, শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে সামান্য ময়েশ্চারাইজার মাখুন। ত্বক উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ হবে।