পদত্যাগপত্রে থেরেসা মে’কে যা বললেন বরিস জনসন
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আকস্মিক পদত্যাগে বিপাকে পড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সরকার। সোমবার,জনসন সরাসরি থেরেসা মে’র কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ব্রেক্সিট ইস্যুতে কট্টর অবস্থানে থাকা বরিসের সঙ্গে থেরেসা মে’র নেতৃত্বাধীন সরকারের রেষারেষির অবসান ঘটলো। এর আগে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে থাকা বরিস জনসন মন্ত্রী পরিষদের আরো ৬ মন্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিপক্ষে ভেটো দেবেন এমন গুঞ্জন উঠেছিলো। এর প্রেক্ষিতে, রোববার থেরেসা মে বরিসকে তার মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। তবে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের সঙ্গে কোনভাবেই মতের মিল না হওয়ায় অবশেষে নিজেই পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন। জনসনের সঙ্গে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিস ডেভিসও পদত্যাগ করেন।
নিজের পদত্যাগপত্রে জনসন এই বিষয়ে লেখেন, আজ থেকে দু বছর আগে ব্রিটিশ জনগণ ব্রেক্সিটের স্বপক্ষে ভোট দিয়েছেলেন। নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং নিজেদের তৈরি আইনের শাসনের জন্যই তারা এমনটি করেন। তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন ব্রেক্সিট একটি নতুন স্বাধীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্ম দেবে। কিন্তু, বর্তমান সরকার ব্রেক্সিট ইস্যুতে যে ‘নরম অবস্থান; নিয়েছেন তা জনগণের আকাক্সক্ষার বিপরীত। এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ সন্দেহের জালে ব্রেক্সিটের স্বপ্নকেই গলা টিপে হত্যা করেছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ব্রেক্সিটের মাধ্যমে যুগোপযুগি পরিবর্তনের দরকার ছিলো। জার মাধ্যমে আরো বৃহত্তর পরিসরে যুক্তরাজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া যেত। কিন্তু সরকার ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপের ইচ্চার কাছে মাথানত করেছে। আমি মনে করি, এতে ব্রিটিশ জনগণের ইচ্ছা ও মর্যাদার হানি ঘটেছে। তাই আমি এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্য সান