টাইগারদের ফাইনালে ওঠার লড়াই আজ
এশিয়া কাপের শুরু থেকেই রোমাঞ্চ উপহার দিচ্ছে বাংলাদেশ দল। উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানের জয়। যেখানে পাঁজরের ব্যথা নিয়ে অসামান্য এক সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহীম। আর ইনিংসের শেষ মুহূর্তে ‘৬ সপ্তাহের জন্য ছিটকে যাওয়া’ তামিম মাঠে নেমে চমকে দিলেন সবাইকে।
অবিস্মরণীয় জয় শেষে আবার পরের দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও ভারতের কাছে ধরাশায়ী! গ্রুপপর্বের ম্যাচে আফগানদের কাছে ১৩৬ রানের হারে বিপর্যস্ত টাইগাররা পরের ম্যাচে হারে ভারতের কাছেও।
এর মধ্যে হঠাৎ দেশ থেকে উড়িয়ে নেওয়া হল সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। যেটি জানতেনই না অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা! জানতেন না সাকিব আল হাসানও! এ নিয়ে ওঠে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সুপার ফোরের বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশ আবার মুখোমুখি হয় আফগানিস্তানের। ফিরতি ম্যাচে আর আফগানদের শেষ হাসি হাসতে দেয়নি টাইগাররা। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে রশিদ খানেরা।
এদিকে সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে ভারত। আফগানিস্তান ছিটকে যাওয়ায় ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আজ আবু ধাবিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। অঘোষিত এই সেমি ফাইনালের জয়ী দলই শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে নামবে ফাইনাল।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস রীতিমতো হুমকি দিয়ে রাখলেন পাকিস্তানকে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট দল হিসেবে ওদের (পাকিস্তান) প্রতি শ্রদ্ধা আছে আমাদের, চ্যালেঞ্জটির জন্য মুখিয়ে আছি আমরা। তবে আমরাও বিপজ্জনক দল এবং তারাও সেটা জানে।’
এর আগে পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থার খোলাখুলি ভাবেই স্বীকার করে নিয়েছেন, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে ভুগছে তার দল। ১৫ মাস আগে পাকিস্তানের এই দলটিই ভারতকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল। কেন দলের এমন ছন্নছাড়া অবস্থা? পাকিস্তান কোচ বললেন, ‘সত্যি বলতে, এই মুহূর্তে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্কট চলছে। ব্যর্থতার ভয় কিছুটা হলেও ড্রেসিংরুমে গ্রাস করেছে। ক্রিকেট দল হিসেবে এখন আমরা কি অবস্থায় আছি, সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি আমরা।’
পাকিস্তান আত্মবিশ্বাসে সংকটে ভুগলেও বাংলাদেশের স্বপ্ন গিয়ে ঠেকেছে ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে। স্টিভ রোডসের কথায়, ‘দারুণ লড়াই হবে। ম্যাচটি (পাকিস্তানের বিপক্ষে) কার্যত সেমি-ফাইনালে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসার পর আমরা এটিই চেয়েছিলাম, এই জায়গাতেই আসতে চেয়েছিলাম। এখন চেষ্টা করব পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের বিপক্ষে দারুণ একটি ফাইনালে লড়তে।’
দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ২১০১৫ সালে। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তানকে। এর পর দুই দল আর মুখোমুখি হয়নি। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর বুধবার আবার মুখোমুখি হবে দুই দল।
এখন প্রয়োজন শুধু নিজেদের এই টগবগে আত্মবিশ্বাস আর প্রতিপক্ষের ভয়কে কাজে লাগানো। মাশরাফিরা তা পারবেন?