নিউজ ডেস্ক : সিটি করপোরেশনের সংশোধিত বিধিমালা হাতে পাওয়ায় সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল দেওয়ারও প্রক্রিয়া চলছে চলতি সপ্তাহে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে ইসি। আগামীকাল তফসিল দেয়া হবে। নির্বাচনে ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ ডিসেম্বর।
রোববার ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ বলেন, “আজই আমরা আইনমন্ত্রণালয়ের ভেটিং করা সিটি করপোরেশনের সংশোধিত নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি এবং জেলা পরিষদের নতুন নির্বাচন বিধি ও আচরণবিধি হাতে পেয়েছি। তা পর্যালোচনা করে গেজেট আকারে প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। গেজেটের পরই তফসিল দেওয়া সম্ভব হবে।” বিধিমালার গেজেট নিয়ে কমিশন সভা ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে করার আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের ভোটের তারিখ ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্ধারণ করে দিয়েছে। সময় স্বল্পতার কারণে সোমবারই নারায়ণগঞ্জের তফসিল দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
বিধিমালা হাতে পেয়ে রোববার বিকালে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, “বিধিমালা হাতে পেয়েছি আমরা। সবকিছু ঠিক করে সোমবার সকালেই গেজেট আকারে তা প্রকাশের জন্য এসআরও জারির জন্যে পাঠানো হবে। সম্ভব হলে সোমবার বিকালেও নারায়ণগঞ্জের তফসিল দেওয়া হতে পারে। তবে সব কিছু নির্ভর করবে গেজেট হাতে পাওয়ার পর কমিশন সভায়।” জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচিও কয়েকদিনের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে একই দিনে করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে কমিশন। আইনমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় বিধিমালার অনুমোদন পেতে বিলম্ব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসে নথিতে অনুমোদন দেয়ার পর সোমবার জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা কমিশনে পৌঁছানো হয়।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৪ লাখ ৩ হাজার ৭০৬ ভোটার ২০১১ সালে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছিলেন।