সকল জরিপকে মিথ্যা প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করেছেন।
বিজয়ী ভাষণে ডোনাল ট্রাম্প বলেন, আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিছুক্ষণ আগে আমাকে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছে
এসময় আমাদের উচিত সকলের এ সঙ্গে কাজ করা। আমাকে যারা সমর্থন করেনি আমি তাদের কাছে যেয়ে দেশের উন্নতীর জন্য এক সঙ্গে কাজ করার উৎসাহীত করবো।
একসঙ্গে কাজ করে আমাদের সপ্নের আমেরিকা গড়বো। এতোদিন আমরা পৃথিবীর মানুষের জন্য করেছি, এখন আমাদের নিজেদের জন্য করবো।
আমরা সব কিছু করেছি। এখন আমরা আবারো সব কিছু নতুন করে মিলিয়ন মানুষ। এখন বেনিফিট অফ অল। কোনো সপ্নই বড় না, যদি পরিশ্রম করা যায়। আমরা আমাদের সপ্ন সফল করবো। আমারিকার জনগণ বিশ্বের সকলের জন্যৗ। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার পিতা মাতাকে। আমি তাদের থেকে শিখেছি। আমি আমার ভাই রবার্ট ও বোনকে ধন্যবাদ জানাই । ধন্যবাদ আমার স্ত্রী ও সন্তান ও পুত্রকে। আমি তোমাদের ভালোবাসি। এটা অনেক কঠিন ছিলো। এ রাজনীতি অনেক নোংরা ছিলো। অবশ্যই কঠিন ছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের প্রয়োজন ছিলো। এখন পর্যন্ত বিজয়ী ডোনাল ট্রাম্প ২৭৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। আর তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পেয়েছেন ২১৮টি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে। জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যা নির্ধারিত হয়। একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, ওই রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোটগুলো তার ঝুলিতেই যাবে। যে প্রার্থী অন্তত ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ২৭০টি পাবেন, শেষ বিচারে তিনিই হবেন বিজয়ী। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাঙ্গালীদের অধিকাংশ ভোট হিলারি পেয়েছেন।
তবে তরুণ প্রজন্মের ভোটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারই প্রথম ৬৫ ভাগ নাগরিক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করেছেন।
আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিশ্ব-বাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে এক নতুন ইতিহাস গড়লেন ডোনাল ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এতটা জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন আর কখনও দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনকে এযাবতকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বলে উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে এবং পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সকাল ৭টা থেকে শুনি হয়েছে ঐতিহাসিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও ওভারসিজ ভোটারদের আগাম ভোট এবং ১শ’ ভোটারের কম জনসংখ্যার ৩টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এবার মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সব অঙ্গরাজ্যে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
কোন অঙ্গরাজ্যে কতো ইলেক্টোরাল ভোট :
আলবামা-৯, আলাস্কা-৩, আরিজোনা-১১, আরকানসাস-৬, ক্যালিফোর্নিয়া-৫৫, কোলোরাডো-৯, কানেক্টিকাট-৭, ডেলাওয়ের-৩, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া-৩, ফ্লোরিডা-২৯, জর্জিয়া-১৬, হাওয়াই-৪, ইডাহো-৪, ইলিনয়-২০, ইন্ডিয়ানা-১১, আইওয়া-৬, কানসাস-৬, কেন্টাকি-৮, লুইজিয়ানা-৮, মাইনে-৪, ম্যারিল্যান্ড-১০, ম্যাসাচুসেটস-১১, মিশিগান-১৬, মিনেসোটা-১০, মিসিসিপি-৬, মিসৌরি-১০, মনটানা-৩, নেব্রাস্কা-৫, নেভাদা-৬, নিউ হ্যাম্পশায়ার-৪, নিউজার্সি-১৪, নিউ মেক্সিকো-১৪, নিউইয়র্ক-২৯, নর্থ ক্যারোলিনা-১৫, নর্থ ডাকোটা-৩, ওহাইও-১৮, ওকলাহোমা-৭, অরেগন-৭, পেনসিলভানিয়া-২০, রোডে আইল্যান্ড-৪, সাউথ ক্যারোলিনা-৯, সাউথ ডাকোটা-৩, টেনেসে-১১, টেক্সাস-৩৮, উতাহ-৬, ভারমন্ট-৩, ভার্জিনিয়া-১৩, ওয়াশিংটন-১২, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া-৫, উইকনসিন এবং উইয়োমিং-৩।