আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পব্ত্রি কাবা শরীফ অবমাননার করে আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার প্রতিবাদে মিছিল চলাকালে নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাড়ি ঘর ও মন্দিরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আজ বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ নাগরিক কমিটির,মানবাধিকার কমিশন,হিন্দু বৌদ্ধ,খ্রষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আইন ও শালিস কেন্দ্রের নিবার্হী পরিচালক সুলতানা কামালের নেতৃত্বে নাগরিক কমিটি,ডঃ এনামুল হক চৌধুরী নেতৃত্বে মানবাধিকার কমিশন ও ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্তের নেতৃত্বে হিন্দু বৌদ্ধ,খ্রষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদল পৃথক পৃথকভাবে হরিপুরসহ নাসিরনগর গৌর মন্দির,দত্তবাড়ি মন্দির,কালিবাড়ি মন্দির,জগন্নাথ মন্দিরসহ বিভিন্ন বাড়িঘর পরিদর্শন করেন ও আহত এবং ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে আইন ও শালিস কেন্দ্রের নিবার্হী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন সুষ্ঠু তদন্ত করে এঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান। এদিকে আজ বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নিবার্হী কমিটির সদস্য,পাবর্ত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি র.আ.ম.উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি হারিপুর গ্রামে বাড়ি ঘর ও মন্দিরে হামলা,ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অন্যদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাড়ি ঘর ও মন্দিরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল কাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে শনিবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসকে (৩০) আটক করে এলাকাবাসি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই রসরাজের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের পাশাপাশি একদল লোক বের হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ব্যাপক লুটপাটও করে। তাদের হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জন আহত হয়।খবর পেয়ে পুলিশ,বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।