বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ নেতা অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদ ও সংসদের বাইরে বারবার বলেছেন তার দল আগাছায় ভরে গেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীও সেই আগাছার মধ্যে পড়েন কিনা সেটি ভেবে দেখা দরকার।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণাবড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও ঘর-বাড়ি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাড. মো. ছায়েদুল হক ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর এলাকায় এসেছেন কিন্তু এখনো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াননি। তিনি এলাকার সাংবাদিকদেরও গালিগালাজ করেছেন।
২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে নাসিরনগরের ঘটনাটি তারই ধারাবাহিকতা বলে আমাদের কাছে দৃশ্যমান। গুলশানের হলি আর্টিসানের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। নাসিরনগরের হামলার ঘটনাকে হালকা অথবা লঘুভাবে বিবেচনা করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। যদি লঘুভাবে বিবেচনা করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরো বড় হামলার মুখোমুখি হবে আমরা তা অনুমান করতে পারি।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ও প্রশাসন একইসঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার চক্রান্তকারীরা এর মধ্যেই অবস্থান করছে কিনা।
রানা দাশগুপ্তের সঙ্গে কেন্দ্রীয় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা ডাকবাংলোয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. ছায়েদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নাসিরনগরের পরিবেশ শান্ত, সাংবাদিকরা পরিবেশ অস্বাভাবিক করে তুলছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা কেউ অনাহারে নেই। আমি সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ-খবর রেখেছি।