নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন মামলার রুল শুনানি নিতে বিব্রতবোধ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। কিন্তু বেঞ্চের একজন বিচারপতি এ মামলা শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন।
নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি মামলাটি শুনানির জন্য নতুন একটি বেঞ্চ ঠিক করে দেবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুরশীদ আলম খান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম মনিরুজ্জামান কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শ্বাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, জোবায়দা তারেক রহমানকে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। তারেক রহমান জোবায়দাকে ৩৫ লাখ টাকার দুটি এফডিআর করে দেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
পরে জোবায়দা রহমান মামলাটি স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৮ এপ্রিল মামলাটির কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন। স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিলে গেলে তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই থেকে জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
মামলা স্থগিত চেয়ে জোবায়দার আবেদনে দুদককে বিবাদী করা হয়নি। তাই ওই আবেদনে দুদককে পক্ষভুক্তির জন্য আদালতে আবেদন করে দুদক। গত বছরের ২ এপ্রিল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদককে পক্ষভুক্ত করার আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর মামলাটি সচলের জন্য উদ্যোগ নেয় দুদক।