অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নিজের মেয়েকে ১৫ বছর ধরে যৌন নির্যাতনসহ শারীরিক অমানবিক অত্যাচারের দায়ে বাবা-মা দু’জনকেই জেলে পাঠালেন সিডনি আদালত।
ঐ পৈশাচিক বাবা-মার এখন পর্যন্ত বিস্তারিত পরিচয় মিলেনি। তবে বাবা-মা উভয়ই সিডনির কোন এক কলেজের শিক্ষক ছিল বলে জানা যায়। অত্যাচার ও বর্বরতা এতটাই অবর্ণনীয় ও জঘন্য যে তা প্রকাশ করার মত নয়। তবে যতটুকু সম্ভব পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করলাম:
মেয়ের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন থেকেই ঊনষাট বছর বয়সী বাবা তার মেয়েকে যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক অত্যাচার করে আসছে। এ অমানবিক অত্যাচারের ব্যপ্তি ছিল ১৫ প্রায় বছর।
মাঝে মাঝে মেয়েকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখেন। কখনও মুরগীর খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখেন কিংবা কখনও চাপাতি দিয়ে ভয় দেখাতেন ঐ ভয়ংকর বাবা।
বছরের পর বছর মেয়েকে যৌন নির্যাতনে সহায়তা করে আসছেন ঐ মেয়ের মা যা সিডনি আদালতে উঠে এসেছে। বাবা-মা দুজনে মিলে মেয়েকে দিয়ে বিকৃত যৌন আচরণ করিয়েছে বলে সিডনি আদালত প্রকাশ করে।
বিভিন্ন উপলক্ষে বাবা মেয়েকে ধর্ষণ করতেন। মেয়ে নোংরামি কাজ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে কিংবা মেয়ে কোন নির্যাতন কারণের বমি করলে সেই বমিও জোর করে খাইয়ে দিতেন তার জানোয়াররূপী বাবা। তিনি প্রায়ই মেয়েকে বিষ পিঁপড়ার কামড় খাওয়াতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বলেন, ওর সাথে যে অমানবিক অত্যাচার করা হত তা আমার সাথে ঘটলে আমি শেষে হয়ে যেতাম।
মেয়েটিকে এখন সিডনির এক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ হতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে করেন হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা।
মেয়ের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, আমাকে আমার বাবা-মা নরকের আগুনে ফেলে দিয়েছে।
আদালতের বিচারক জাজ হাজেট বলেন, সে এখনও মানসিক পীড়ায় ভুগছে। তার অতীতে সংঘটিত নানান অত্যাচারের দুঃসহ ঘটনা তাকে প্রতি মুহুর্তে পুড়ে পুড়ে খাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সে তার পাজড়, মেরুদণ্ড ও হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছে।
ঐ ঊনষাট বছরের নরপিশাচ বাবাকে ৪৮ বছর এবং ৫১ বছর বয়সী মাকে ১৬ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে সিডনির আদালত যেখানে বাবার বিরুদ্ধে ৭৩টি ও মার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা করা হয়।
আদালতের বিচারক হাজেট বলেন, ঐ লোকের জেল থেকে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তার আমৃত্যু সাজা বহাল থাকবে বলে বিচারক দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন। সূত্র: ডেইলি মেইল