আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় নীরব থাকার পর মার্কিন গায়ক ও গীতিকার বব ডিলান তার সাহিত্যে নোবেল প্রাপ্তির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ওই পুরস্কার প্রাপ্তি তাকে বাকরুদ্ধ করেছে।১৩ অক্টোবর সাহিত্যে নোবেলজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। মার্কিন সংগীত ঐতিহ্যে ‘নতুন কাব্যিক ধারা’ সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে ডিলানকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয় বলে তারা জানায়। তবে নোবেলপ্রাপ্তির পর থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি ডিলান।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নোবেল ফাউন্ডেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বব ডিলান টেলিফোন করে তাদের বলেছেন, সাহিত্যে নোবেল প্রাপ্তিতে তিনি সম্মানিত বোধ করেছেন এবং ওই পুরস্কার তাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছিল।
তবে তিনি ডিসেম্বরে সুইডেনে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আসবেন কিনা, তা নিশ্চিত করেননি।
ডিলান নোবেল কমিটির স্থায়ী সচিব সারা দানিউসকে টেলিফোনে বলেছেন, ‘নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। আমি এজন্য সম্মানিত বোধ করছি।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ডিলান এক ব্রিটিশ পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি সশরীরেই পুরস্কার গ্রহণ করবেন। ওই সাক্ষাৎকারে এই পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়টিকে ‘অবিশ্বাস্য আর কল্পনার বাইরে’ ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
গত সপ্তাহে নোবেল কমিটির এক সদস্য নোবেল প্রাপ্তির পর ডিলানের নিশ্চুপ থাকাকে ‘অভব্য আচরণ’ বলে সমালোচনা করেছিলেন।
এর আগে ডিলান পেয়েছেন গ্রামি এ্যাডওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। ওয়ান্ডার্স বয়েজ চলচ্চিত্রে ডিলানের ‘থিংকস হ্যানভ চেইঞ্জড’ গানটি ২০০১ সালে অস্কার জিতে নেয়। ২০০৮ সালে পুলিৎজার পুরস্কারের জুরি বোর্ড মার্কিন সংস্কৃতিতে অবদানের জন্যট তাকে বিশেষ সম্মাননা জানায়। আর ২০১২ সালে তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ডিলানের গলায় পরিয়ে দেন ‘মেডাল অব ফ্রিডম’!
রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম, ন্যাশভিল সংরাইটার্স হল অফ ফেম ও সংরাইটার্স হল অব ফেম এ তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় তার নাম রয়েছে। ২০০৪ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন প্রকাশিত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০০ গায়কের তালিকায় দ্য বিটলসের পর বব ডিলন দ্বিতীয় অবস্থান দখল করেন। ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে ডিলনকে ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং কর্তৃক কমান্ডার দেস আর্টস এট দেস লেটার্স উপাধিতে ভুষিত করেছেন। ২০০০ সালে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব মিউজিক তাকে পোলার মিউজিক পুরস্কার প্রদান করে। ২০০৭ সালে ডিলনকে সংস্কৃতিতে প্রিন্স অব অস্ট্রিয়াস পুরস্কার প্রদান করা হয়।