নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে গরুর মাংসসহ সব ধরনের হালাল মাংস আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরব। তাই মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে সব ধরনের হালাল মাংস রফতানির বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারিভাবেও নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দেশটির সৌদি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটির (এসএফডিএ) সঙ্গে চুক্তি করা হবে।
সূত্র মতে, এ চুক্তি হবে বাংলাদেশের প্রাণিজ সম্পদ অধিদফতরের ডিপার্টমেন্ট অব লাইভ স্টক সার্ভিসেস (ডিএলএস) এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ এসএফডিএ’র মধ্যে। সৌদি আরব এতদিন ব্রাজিলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া ও মুরগির মাংস আমদানি করত। কিন্তু এখন দেশটি বাংলাদেশ থেকে হালাল মাংস আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
জানা গেছে, দেশে এ মুহূর্তে গরুর কিছুটা সঙ্কট থাকলেও খাসিসহ অন্যান্য মাংসের কোনো ঘাটতি নেই। তাই সৌদি আরবে মাংস রফতানি করে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন রফতানিকারকরা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সব ধরনের হালাল মাংস রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে। সৌদি আরব হচ্ছে বিশ্বের হালাল মাংসের অন্যতম ক্রেতাদেশ। দেশটিতে বাংলাদেশী হালাল মাংসের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। এতদিন বিচ্ছিন্নভাবে দেশটিতে কিছু মাংস রফতানি হলেও তা যথেষ্ট ছিল না। তবে এবার দু’দেশের সরকারি প্রচেষ্টায় মাংস রফতানি বাড়ানো হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে হালাল মাংস রফতানির লক্ষ্যে সম্প্রতি ইপিবিতে একটি সভা হয়। সভায় হালাল মাংস রফতানির বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রফতানি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
জানা গেছে, পণ্যটি রোগবিহীন এবং স্বাস্থ্যসম্মত হলেই তাকে হালাল পণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেসব গবাদি পশু ও হাঁসমুরগির মাংস রফতানি করা হবে, সেগুলো খামারে উৎপাদন করা হবে। বেসরকারি খাতে বেঙ্গল মিট নিজস্ব খামারে উৎপাদিত গরু ও খাসির মাংস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করছে।
এছাড়া বেসরকারি খাতে দেশে এখন গবাদি পশু পালনে বহুসংখ্যক খামার গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রাণিজসম্পদ অধিদফতর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশে পশুপালন ও মাংস উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে দেশে গরুর কিছু সঙ্কট থাকলেও খাসি, ভেড়া, মহিষসহ অন্যান্য প্রাণীর উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। তাই সৌদি আরবে মাংসের বড় বাজার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।